মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:০২ অপরাহ্ন

অগ্রণী ব্যাংক হবিগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক মাধব চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানী ও অসদাচারনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ অগ্রণী ব্যাংক হবিগঞ্জ প্রধান শাখার ম্যানেজার মাধব চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানী ও অসদাচারনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে কারনে ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহকদের অনেকেই লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া ঋণ গ্রহিতাদের কাছ থেকে কমিশন, সংশ্লিষ্ট আইনজীবিদের মামলা পাইয়ে দেয়ার নামে অর্থ আদায়, ভুয়া গ্রাহকদের ঋণ প্রদানের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর আগে তিনি মৌলভী বাজার জেলার মুন্সি বাজার শাখায় একই পদে দায়িত পালন করেন। সেখানেও তিনি বিভিন্ন অভিযোগে বিতর্কিত হন।

জানা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাসের ১ম সপ্তাহে হবিগঞ্জ অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন মধাব চন্দ্র রায়।

এরপর থেকে তিনি সাধারণ গ্রাহকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও অসদাচারন করে আসছেন। তার এমন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে অনেক গ্রাহক একাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে যাদের সিসি লোন আছে তাদেরকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতেও বাধা দিচ্ছেন, ফলে ব্যাংকে অনেকেই যেতে ভয় পাচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দপ্তরী থেকে ঋণ প্রদান করে ঋণ কর্মকর্তা শামছুল আলমের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা লাভ করেন তিনি।

শুধু তাই নয়, গ্রাহকদের অভিযোগ, কোন কারণ ছাড়াই ঋণ গ্রহিতাদের বিরুদ্ধে গত ১১ মাসে তিনি প্রায় অর্ধ শতাধিক মামলা দিয়েছেন।

স্কাউটার সান্টু, যুবলীগ নেতা হিমশিম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তৈয়ব আলীসহ অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে মামলা দিয়েছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।

তাছাড়াও নানা অনিয়মের পাশাপাশি কৌশলে অর্জন করেছেন অবৈধ সম্পদ। নামে বেনামে জেলা ও জেলার বাহিরে ক্রয় করেছেন জায়গা-জমি।

হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়া বাজার এলাকায় তার স্ত্রী রিতা রায়ের নামে রয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা দামের ৫তলা বিলাস বহুল ফ্ল্যাট বাড়ি। যার (হোল্ডিং নং-২০৪৪/০১)। পুত্র রাজদ্বীপকে কানাডায় পাঠানোর জন্য জমা দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা। আরেক পুত্র অন্তর রায়কে ঢাকাস্থ ডেপুডিল ইউনির্ভার সিটিতে ব্যয় বহুল কোর্স করিয়েছেন।

সম্প্রতি হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের বিরুদ্ধেও কুটক্তি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পৌর সভার একটি চেক আসলে সেখানে স্বাক্ষর সঠিক নয় বলে গালাগালি করেন হিসাব রক্ষণকারী মো. কামরুজ্জামানকে।

নাম প্রকাশ্যে ঋণ গ্রহীতা এক ব্যবসায়ি বলেন, ‘আমাকে ব্যাংকের ম্যানেজার মাধব চন্দ্র রায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ব্যাংক থেকে বের করে দিয়েছেন। আমি ব্যাংক থেকে আমার একাউন্ট ক্লোজ করে নিয়েছি। তার ভয়ে বর্তমানে ব্যাংকে যেতে পারছি না। আমার মত অনেকেই ভয়ে ব্যাংকে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন’।

এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংকের সিলেট বিভাগীয় ব্যবস্থাপক রুবানা পারভীন জানান, অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাধব চন্দ্র রায়ের অফিসিয়াল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.