বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গণপরিবহনে করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা। খরস্রোতা নদীর ওপর নির্মিত সেতু দিয়ে পদ্মা পাড়ি দিতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। প্রায় প্রতিটি বাসের ভেতর যাত্রীরা আনন্দ-উল্লাস করছেন।
সকালে পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রীবাহী প্রথম বাস হিসেবে ১৫-৪৬২৪ নম্বরের এনা পরিবহনের একটি বাস টোল দিয়ে মূল সেতুতে প্রবেশ করে। বাসটিকে বিভিন্ন রংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে।
জানা যায়, এ বাসের প্রথম যাত্রীরা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ভিত্তিক বাসপ্রেমীদের সংগঠন বিডি বাস লাভার-এর সদস্যরা। রাজধানীর শাহবাগ থেকে বাসটি ফরিপুরের ভাঙ্গা এলাকার উদ্দেশ্যে যায়।
পদ্মা সেতুতে উঠার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বাসের যাত্রীরা। শুধু এনা নয়, সকাল থেকে চলাচল করা সকল বাসেই এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে সেতুর ওপর দাঁড়ানো ও ছবি তোলা নিষেধ থাকলেও মানছেন না অনেকেই। সেতুর মাঝামাঝি প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি মোটরসাইকেল। সেখানে ছবি ও সেলফি তুলছেন উৎসুক জনতা।
শরীয়তপুরগামী মোটরসাইকেল আরোহী সুরুজ রহমান জানান, অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। ভোর চারটার সময় এসেছি স্বপ্নের সেতুতে। অনেক অনেক যানবাহন আছে সবাই আনন্দিত, আমরা সবাই অনেক খুশি।
শাহিনুর খন্দরকার জানান, শনিবারই মাদারীপুরে বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো। তবে পদ্মা সেতু দিয়ে যাওয়ার জন্য আজ এসেছি। এ আনন্দ বলে বোঝাতে পারবো না।
রহমত আলী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি পারেন, সেটাই প্রমাণ করে দেখালেন। দুর্ভোগের দিন শেষ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ।
এদিকে জাজিরা প্রান্ত দিয়ে প্রথম বাস হিসেবে পদ্মা সেতু পার হয়েছে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস; এমন ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে উচ্ছ্বসিত বাসের চালক ও যাত্রীরা। আবেগ, অনুভূতি আর আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।
সব থেকে বেশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গাড়িটির চালকের সহযোগী মজিবুর মিয়া। তিনি সেতু পার হওয়ার পর গাড়ি থেকে নেমে হাত উঁচু করে লাফাতে থাকেন। মনে হয় যেন পর্বত জয় করলেন।
এ সময় মজিবুর বলেন, ‘আমার জীবন ধন্য হয়ে গেছে।’
রোববার সকাল ৬টার দিকে সেতু চালুর পর জাজিরা প্রান্ত থেকে সেতুতে ওঠে যাত্রীবাহী ইমাদ পরিবহন। খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বাসটির চালক মো. হানিফ টোল প্লাজায় টোল পরিশোধ করে ‘আনন্দের সীমা নাই’ বলে চিৎকার করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক স্যালুট।’ এ সময় গান গেয়ে হানিফ বলেন, ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি, জন্ম দিয়েছ মাগো, বড় বেশি ভালোবাসি।
‘আমরা আমরা করবো জয়। আমরা করবো জয় একদিন… ’