বুধবার, ০৭ Jun ২০২৩, ০২:১৯ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারার কালনী নদীর তলদেশ থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে বালুখেকো চক্র। কোন তরফ থেকে বাধা না পাওয়ায় ওই চক্রটি বালু উত্তোলনে এখন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইতিপূর্বে এ ব্যাপারে প্রতিদিনের বাণীতে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। কিন্তু অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের যজ্ঞ বন্ধ হয়নি। স্থানীয় প্রশাসন অভিযানে নামলে ড্রেজারবাহী নৌযানগুলো ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। অভিযানের পর আবারও নিজেদের ইচ্ছামতো বালু উত্তোলন শুরু করে। নদীতে বালুমহালের ইজারা নীতিমালা রয়েছে। সে অনুযায়ী ড্রেজার অথবা বোমা মেশিন দিয়ে নদীগর্ভ থেকে বালু তোলা নিষিদ্ধ। কিন্তু অধিকাংশ বালু ব্যবসায়ীই এ নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের স্থান আজমিরিগঞ্জ বাশ মহাল সংলগ্ন। এর বাইরেও গ্রামের অদূরে নদীর তীর সংলগ্ন স্থানে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। এভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের কারণে শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। এছাড়া ফসলি জমি বিলীন হওয়াসহ অবাধে মাছের বিচরণ ক্ষেত্রেরও ক্ষতি হচ্ছে। অপর একটি সূত্র জানায়, কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রভাবশালী এক নেতা অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। যদিও ১৯৮৩ ইং সনের ডিমারগেশন চুক্তি অনুযায়ী কুশিয়ারার কালনী নদী শাসনের দায়িত্ব জেলা প্রশাসন হবিগঞ্জের। কিন্তু পরিবেশ ও নদী রক্ষা আইনের প্রয়োগ হতে দেখা যায় না।