ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জ শহরসহ ৭টি গ্রামের মানুষ জন শুন্য যৌথবাহিনী অভিযান ১৩ জন আটক Logo হবিগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই Logo নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষ নিহত ১ আহত কয়েক শতাধিক Logo জুলাই অভ্যুত্থানে নৃশংস হামলার আসামি ও দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি Logo ৪দিনের উত্তেজনার পর নবীগঞ্জে কয়েক হাজার মানুষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত কয়েক শতাধিক Logo নবীগঞ্জ দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত Logo এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১০ জুলাই Logo হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক নেতা সাকিব গ্রেপ্তার Logo শায়েস্তাগঞ্জ থানার সাবেক ওসি কামালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা: সাংবাদিকসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

আজ তেলিয়াপাড়া দিবস, ১১ সেক্টরে ভাগ হয় মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:-

আজ তেলিয়াপাড়া দিবস। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক একটি দিন। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় দেশকে স্বাধীন করার ঐতিহাসিক এক শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিন তেলিয়াপাড়া শপথে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ৪ এপ্রিল মাগরিবের নামাজের পর এমএজি ওসমানী চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোর দোতলায় কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকেই সমগ্র রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেজর সি আর দত্ত, মেজর কেএম শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর সাফায়েত জামিল, লে. কর্নেল আব্দুর রব, এমএনএ লে. কর্নেল সালেহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, ব্রিগেডিয়ার ভিসি পান্ডে, ক্যাপ্টেন নাসিম, ক্যাপ্টেন আব্দুল মতিন, ক্যাপ্টেন সুবেদ আলী ভুইয়া, লেঃ সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, লেঃ হেলাল মোর্শেদ খান, লে. নাসিরউদ্দিন, লে. মাহবুব, লে. আনিস, লে. সেলিম, মোস্তফা আলী এমএনএ, মানিক চৌধুরী এমএনএ, এনামুল হক মোস্তফা শহীদ এমপিএ, মৌলানা আসাদ আলী এমপি।

তেলিয়াপাড়া ম্যানেজার বাংলোকে ৩নং সেক্টরের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বৈঠক শেষে ওসমানী ও রবের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের নকশা প্রণয়ন এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ করানো হয়।

শপথ বাক্য পাঠ করান এমএজি ওসমানী। ১নং সেক্টরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম। ২নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশারফ পরে মেজর হায়দার। ৩নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর কেএম শফিউল্লাহ পরে মেজর নুরুজামান। ৪নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর সি আর দত্ত। ৫নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। ৬নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার আবুল বাশার। ৭নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী নুরুজামান। ৮নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর ওসমান চৌধুরী পরে মেজর এমএ মনছুর। ৯নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আব্দুল জলিল এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন এমএ মঞ্জুর। ১০নং সেক্টর নৌবাহিনীর সৈনিকদের দিয়ে গঠন করা হয়। ১১নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু তাহের পরে ফ্লাইট লে. হামিদুল্লাহ।
মুক্তিবাহিনীকে ৩টি ব্রিগেডে ভাগ করে ৩ জনকে পরিচালনা করার দায়িত্ব দেন জেনারেল এমএজি ওসমানী। মেজর জিয়াউর রহমানের নাম অনুসারে জেড ফোর্স জিয়াউর রহমানের দায়িত্বে, মেজর শফিউল্লাহ নাম অনুসারে এস ফোর্স শফিউল্লাহ’র দায়িত্বে এবং মেজর খালেদ মোশারফের নাম অনুসারে কে ফোর্স খালেদ মোশারফের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম জানান- আমাদের গৌরবের স্থানটি সুরক্ষা ও আকর্ষণীয় করে তুলে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানাতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। স্মৃতিস্তম্ভের সংস্কার করাসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (পুরাতন) থেকে চা-বাগানের ভেতর দিয়ে রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়েছে।

তেলিয়াপাড়া চা-বাগান কর্তৃপক্ষ জানান, ঐতিহাসিক এ দিনটিকে স্মরণ করতে প্রতি বছরের ৪ এপ্রিল স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় নানা এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা এখানে এসে স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করে মুগ্ধ হচ্ছেন। চা-বাগানের ভেতরে স্মৃতিস্তম্ভটি অবস্থিত। এর পাশে রয়েছে একটি বিশাল লেক

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৪৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
৬৪ বার পড়া হয়েছে

আজ তেলিয়াপাড়া দিবস, ১১ সেক্টরে ভাগ হয় মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গন

আপডেট সময় ০৬:৪৩:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

আজ তেলিয়াপাড়া দিবস। মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক একটি দিন। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা-বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় দেশকে স্বাধীন করার ঐতিহাসিক এক শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এদিন তেলিয়াপাড়া শপথে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উধ্বর্তন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ৪ এপ্রিল মাগরিবের নামাজের পর এমএজি ওসমানী চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোর দোতলায় কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। এ বৈঠকেই সমগ্র রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী।

বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেজর সি আর দত্ত, মেজর কেএম শফিউল্লাহ, মেজর খালেদ মোশারফ, মেজর কাজী নুরুজ্জামান, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী, মেজর নুরুল ইসলাম, মেজর সাফায়েত জামিল, লে. কর্নেল আব্দুর রব, এমএনএ লে. কর্নেল সালেহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, ব্রিগেডিয়ার ভিসি পান্ডে, ক্যাপ্টেন নাসিম, ক্যাপ্টেন আব্দুল মতিন, ক্যাপ্টেন সুবেদ আলী ভুইয়া, লেঃ সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, লেঃ হেলাল মোর্শেদ খান, লে. নাসিরউদ্দিন, লে. মাহবুব, লে. আনিস, লে. সেলিম, মোস্তফা আলী এমএনএ, মানিক চৌধুরী এমএনএ, এনামুল হক মোস্তফা শহীদ এমপিএ, মৌলানা আসাদ আলী এমপি।

তেলিয়াপাড়া ম্যানেজার বাংলোকে ৩নং সেক্টরের কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করা হয়। বৈঠক শেষে ওসমানী ও রবের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের নকশা প্রণয়ন এবং যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার শপথ করানো হয়।

শপথ বাক্য পাঠ করান এমএজি ওসমানী। ১নং সেক্টরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম। ২নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশারফ পরে মেজর হায়দার। ৩নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর কেএম শফিউল্লাহ পরে মেজর নুরুজামান। ৪নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর সি আর দত্ত। ৫নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী। ৬নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার আবুল বাশার। ৭নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর কাজী নুরুজামান। ৮নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর ওসমান চৌধুরী পরে মেজর এমএ মনছুর। ৯নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আব্দুল জলিল এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন এমএ মঞ্জুর। ১০নং সেক্টর নৌবাহিনীর সৈনিকদের দিয়ে গঠন করা হয়। ১১নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর আবু তাহের পরে ফ্লাইট লে. হামিদুল্লাহ।
মুক্তিবাহিনীকে ৩টি ব্রিগেডে ভাগ করে ৩ জনকে পরিচালনা করার দায়িত্ব দেন জেনারেল এমএজি ওসমানী। মেজর জিয়াউর রহমানের নাম অনুসারে জেড ফোর্স জিয়াউর রহমানের দায়িত্বে, মেজর শফিউল্লাহ নাম অনুসারে এস ফোর্স শফিউল্লাহ’র দায়িত্বে এবং মেজর খালেদ মোশারফের নাম অনুসারে কে ফোর্স খালেদ মোশারফের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মাধবপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরী অসীম জানান- আমাদের গৌরবের স্থানটি সুরক্ষা ও আকর্ষণীয় করে তুলে নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানাতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। স্মৃতিস্তম্ভের সংস্কার করাসহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক (পুরাতন) থেকে চা-বাগানের ভেতর দিয়ে রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয়েছে।

তেলিয়াপাড়া চা-বাগান কর্তৃপক্ষ জানান, ঐতিহাসিক এ দিনটিকে স্মরণ করতে প্রতি বছরের ৪ এপ্রিল স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় নানা এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা এখানে এসে স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করে মুগ্ধ হচ্ছেন। চা-বাগানের ভেতরে স্মৃতিস্তম্ভটি অবস্থিত। এর পাশে রয়েছে একটি বিশাল লেক