শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩০ অপরাহ্ন

আবারও নিলামে উঠছে বন্দরে জমে থাকা গাড়ি

 ডেস্ক রিপোর্ট  চট্টগ্রাম বন্দরের শেডে ১৫ বছর ধরে পড়ে থাকা ১০৮টি মূল্যবান গাড়ি বিক্রির জন্য আবার নিলাম ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

আগে ৯ বার নিলাম ডেকে মাত্র তিনটি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। এবারও নানা জটিলতায় বিক্রির সফলতা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। তবে আর্থিক ক্ষতি এড়াতে বাজার কিংবা ভিত্তিমূল্যের পরিবর্তে বিডারের দেয়া দরেই গাড়িগুলো বিক্রির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

পর্যটন সুবিধায় গত ১২ থেকে ১৫ বছর আগে আনা এসব মূল্যবান গাড়ি এখনো পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের নিলাম শেডের পাশাপাশি বিভিন্ন কনটেইনারের ভেতরে। বারবার নিলাম ডেকেও কাঙ্ক্ষিত ক্রেতার পাশাপাশি মূল্য না পাওয়ায় গাড়িগুলো বিক্রি হচ্ছে না।

এতে অন্তত কয়েকশ’ কোটি টাকার রাজস্ব আটকে আছে। পাশাপাশি বন্দরের মূল্যবান জায়গাও দখল করে রেখেছে গাড়িগুলো। এ অবস্থায় পুনরায় ১০৮টি গাড়ি নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস।

কাস্টমস নিলাম বিডার কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি ফেরদৌস আলম বলেন, ‘বাজার দরের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন করে দাম নির্ধারণ করতে হবে। আর এবার গাড়ির দাম ছেড়ে দিতে হবে বিডারদের ওপর।’

কাস্টমস নিলাম বিডার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াকুব চৌধুরী বলেন, ‘আগের দাম মাথায় রেখে ভিত্তিমূল্য ঠিক করলে হবে না। বুঝতে হবে বর্তমান বাজারে গাড়িটির দাম কেমন। ২০০০ মডেলের একটি গাড়ির দাম সে সময়ের হিসেবে দেড় কোটি টাকা ধরলে, এখন এসে এই দামে কেউ কিনতে চাইবে না।’

দীর্ঘ এক যুগের অপেক্ষার পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি ৩টি গাড়ি বিক্রি করেছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। এর আগে প্রথম দফায় ৬ বার এবং পরবর্তী দফায় দুবার গাড়িগুলো বিক্রির উদ্যোগ নিয়েও সফল হতে পারেনি।

সবচেয়ে বড় জটিলতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিশন বা সিপি জোগাড় করা। আগে বিডারদেরকেই এই সিপি সংগ্রহ করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ায় এবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস নিজেরাই তা নিয়ে রেখেছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার মোহাম্মদ আল আমিন বলেন, ‘এবার বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে সিপি সংগ্রহ করে রেখেছে। এতে করে বিডারদের পোহাতে হবে না বাড়তি ঝামেলা। আশা করছি, এই নিলামে গাড়িগুলো বিক্রি করতে সক্ষম হব।’

এদিকে বছরের পর বছর গাড়িগুলো পড়ে থাকায় অনেক যন্ত্রাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রতি নিলামেই গাড়িগুলোর দাম কমেছে। এ অবস্থায় আর্থিক ক্ষতি এড়িয়ে বিডারদের দরেই গাড়িগুলো বিক্রির কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।

আগামী ৫ থেকে ৯ জুন পর্যন্ত আগ্রহী ক্রেতারা বন্দরের নিলাম শেডে ঢুকে গাড়িগুলো দেখতে পারবেন। ১২ এবং ১৩ জুন দুদিন নিলামপত্র জমা দেয়ার পর ১৯ জুন প্রকাশ্যে নিলাম বক্স খোলা হবে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs