মঙ্গলবার, ০৬ Jun ২০২৩, ০৭:১৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটারের নাটক ‘গোল পোস্ট’ মঞ্চায়িত হলো ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। ফেনী জেলা শিল্পকলা একাডেমির রেপার্টরি নাট্যদলের পরিবেশনায় ‘গোল পোস্ট’ মঞ্চায়িত হয়।
রোববার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকি নাটক প্রদর্শনীটি অনলাইনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনীর ডিসি আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্ব ও জেলা কালচারাল অফিসার এস এম টি কামরান হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাফেজ আহম্মদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব।
এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) গোলাম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটর আজগর আলী, ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর বিমল কান্তি পাল, সদর ইউএনও নাসরীন সুলতানাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সময় টিভির ফেনী ব্যুরো চিফ বখতেয়ার মুন্না, সাংস্কৃতিক নেতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকির ভাবনা ও পরিকল্পনায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘গোল পোস্ট’ রচনায় আসাদুল ইসলাম, পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় ছিলেন আবুল কালাম আজাদ (সেতু)। অভিনয় করেছেন মো. আবদুর রউফ, আব্দুর রহমান মিঠু, হিমেল পাটোয়ারী, মো. রকিবুল ইসলাম, সুরঞ্জিত নাগ, বিজয় নাথ, আরাধ্য শীর, অথৈ মিত্র, সাজ্জাদুল ইসলাম, নাজমুন নাহার, মো. সাজ্জাতুল ইসলাম সানি, বিন্দু বণিক, মো. মির্জান হোসেন, তন্ময় নাথ টিটু, সাব্বির আাহাম্মদ রামিন, ইকবাল হাসান বিজয়, আবদুল্লাহ আল রাজী, সুব্রত দেব নাথ, নামজাদা হীবব আনোয়ার, মো. আইনুল ইসলাম, শারদ রায় নির্জর, মো. আবদুল কাদির, তানজিনা আক্তার জেরিন, বিবি আয়েশা বেগম, পূর্ণ্যতা শর্মা, রাজশ্রী পোদ্দার, মো. শরীফ হোসেন মাসুম, ফাতেমা জান্নাত, মো. আব্দুল্লাহ আল ফরহাদ, শাহরিয়ার ফারিক, যারিন ইরতিজা খানমসহ ফেনী জেলার স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ফেনী কলেজ ছিল পাকবাহিনীর অন্যতম ক্যাম্প আর টর্চার সেল। কলেজের গোলপোস্ট ছিলো তাদের অত্যাচার করার অন্যতম একটা জায়গা। কতশত জানা অজানা মানুষ এই কলেজ এর বধ্যভূমিতে শহীদ হয়েছেন তা আজও অজানা। দেশের জন্য কিছু অতি সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের কাহিনী, পাক বাহিনীর ঘৃন্য যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়েই নাটক গোলপোস্ট।
‘স্বাধীনতার জন্য আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান তো অনস্বীকার্য। কিন্তু পাক বাহিনীর আক্রোশের আগুনে পুড়েছে গ্রামের পর গ্রাম, প্রাণ হারিয়েছে সাধারণ মানুষ, যাদের ছিল না কোন দল, মত, গোত্র। তাদের অপরাধ ছিলো একটাই, তারা বাঙালি। পাক বাহিনী ধর্মটাকে ব্যাবহার করেছে আড়াল হিসেবে। তারা এদেশের মাটিটাই চেয়েছে, মানুষ না। তাই বিনা কারণে হত্যা করেছে শিশু, নারী, বৃদ্ধ।
৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমার বাংলাদেশ। গণহত্যা পরিবেশ থিয়েটার ‘গোলপোস্ট’ সেই নাম জানা, না জানা সাধারণ মানুষগুলোর প্রতি উৎসর্গ করেছেন বলে জানান, গোলপোস্ট নাটকের পরিকল্পক ও নির্দেশক আবুল কালাম আজাদ (সেতু)।