News
- ২৬ মে, ২০২২ / ১৩৫ দেখেছেন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ শায়েস্তাগঞ্জে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মর্জিনা বেগম নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। তাই এই অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পল্লি বিদ্যুতের
জেনারেল ম্যানেজার, পৌর মেয়রসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন দিয়েছেন রফিক মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী। এর আগে ২০২০ সালের মে মাসে এবই ভবনের অবৈধ সংযোগের কারণে বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে পঙ্গুত্ববরণ করে শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামি একাডেমি এন্ড হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী নদী আক্তার।
এ ঘটনায় নদী আক্তারের পিতা রফিক মিয়া ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১নং আসামি মর্জিনা বেগমকে। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার হলেও বর্তমানে তিনি জামিনে আছেন। বিচারাধীন মামলা রেখে আবারও একই ভবনে অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে ভবন নির্মান কাজ করায় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে নদী আক্তারের পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী আক্তার যে ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিলো সেই ভবনে কাজ করছেন কয়েকজন রাজমিস্ত্রী। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান ভবন মালিক মর্জিনা বেগমের নির্দেশে মিজান মিয়ার তত্ত¡াবধানে কাজ করছেন তারা। এই বিষয়ে মর্জিনা বেগম জানান, ভবন নির্মাণে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা নাই। তাই তিনি পার্শ্ববর্তী ভবন থেকে অস্থায়ী বিদ্যুৎ এনে ভবণের কাজ করাচ্ছেন।
নদী আক্তারের বাবা রফিক মিয়া বলেন, আমার মেয়ে নদী আক্তার এই ভবনের অবৈধ বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে পঙ্গত্ব বরন করেছে। তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। সম্প্রতি মর্জিনা বেগম আবারও অবৈধভাবে বিদ্যুৎ চুরি করে ভবন নির্মানের কাজ করছে। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজরাতুন নাঈম জানান, এ বিষয়ে জিএম সাহেবের সাথে কথা বলেছি, তিনি আজকেই ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।