বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৫৮ অপরাহ্ন

খোয়াই নদী দিয়ে ভেসে আসা ভারতের দ্বিজরাজ পরকীয়ার বলি স্ত্রী অমৃতা ও প্রেমিক অনিমেষ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ খোয়াই নদী দিয়ে ভেসে আসা দ্বিজরাজ ঘোষ পরকীয়ার বলি। তার স্ত্রী অমৃতা ঘোষের সাথে একই গ্রামের অনিমেষ মোদক নামের এক যুবকের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো। ত্রিপুরার খোয়াই থানা পুলিশ দ্বিজরাজের স্ত্রী অমৃতাকে বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে। স্ত্রী অমৃতা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে খোয়াই পুলিশ এক ভিডিওতে উল্লেখ করেছে। অমৃতার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার পরকীয়া প্রেমিক অনিমেষ মোদককেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অনিমেষের বাড়ি ভারতের খোয়াই থানার লালছড়া এলাকায়। এ ব্যাপারে খোয়াই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নম্বর-৭২/২০২২। ওই মামলায় অমৃতা ঘোষ ও তার পরকীয়া প্রেমিক অনিমেষ মোদককে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সীমান্তের নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের জাম্বুরাছড়া এলাকার দ্বিজরাজ ঘোষ নিখোঁজ হন। নিখোজের বিষয়টি স্ত্রী অমৃতা ঘোষই প্রথম তার ফেইসবুক ওয়ালে পোস্ট দেন। দ্বিজরাজ ঘোষ পেশায় একজন টমটম চালক।
গত ৫ সেপ্টেম্বর খোয়াই নদীর শায়েস্তাগঞ্জের রেলওয়ে সেতুর কাছে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেন। শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ এসে মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে। মরদেহ তল্লাশী করে ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করে। সেই লাইসেন্সের সুত্র ধরে দ্বিজরাজের মরদেহ সনাক্ত হয়। ময়না তদন্ত শেষে গত ৬ সেপ্টেম্বর বাল্লা সীমান্ত দিয়ে বিজিবি ও পুলিশ দ্বিজরাজের মরদেহ বিএসএফ’র কাছে হস্তান্তর করে। পুলিশ জানায় ময়না তদন্তের রিপোর্টে দ্বিজরাজের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এদিকে মরদেহ পেয়েই দ্বিজরাজের মরদেহ খোয়াই পুলিশের মাধ্যমে স্বজনদের বুঝিয়ে দেয় বিএসএফ।
সীমান্ত সুত্র জানান, দ্বিজরাজ ঘোষ (৪৭) দুই কন্যা, স্ত্রী ও মা রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল রাতেই পরকীয়া প্রেমিক অনিমেষ মোদককে গ্রেপ্তার করেছে খোয়াই থানা পুলিশ। তার বাড়ি খোয়াই শহরের লালছড়া এলাকায়।
গ্রেফতারকৃত অমৃতা ঘোষ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, লালছড়া এলাকার অনিমেষে প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতো। তার সাথে ছিল অবৈধ সম্পর্ক। এতে বাধা দিত টমটম চালক স্বামী দ্বিজরাজ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে অনিমেষ। ঘটনার আগের রাতে পরকীয়ার ঘটনা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। স্থানীয়দের মতে, এ কারণেই পরকীয়া প্রেমিক অনিমেষের সহযোগিতায় স্বামীকে হত্যা করেছে অমৃতা। অমৃতা তার প্রেমিক অনিমেষ স্বামী দ্বিজরাজকে হত্যা করেছে বলে তাকে জানিয়েছে। এবং এ হত্যার কথা প্রকাশ করলে সে ও তার দু’কন্যাকে হত্যা করবে বলে অনিমেষ হুমকী দিয়েছে বলেও পুলিশকে জানায় অমৃতা। হত্যার পর দ্বিজরাজের মৃতদেহ খোয়াই নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs