রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১৫ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার আবু সায়েম নয়ন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চার বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ ৫ জন দগ্ধ হন।
বাকি দগ্ধরা হলেন- মোশাররফ হোসেন, জিল্লুর রহমান, ইমরান হোসেন ও রুবেল হোসেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নাগরিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও প্রধান বক্তা ছিলেন পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পৌঁছালে তাকে উদ্ভোধনী মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার হাতে বেশ কিছু বেলুন দেওয়া হয় উড়িয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু বার বার চেষ্টা করেও তিনি সেই বেলুন উড়াতে ব্যর্থ হন। পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুনগুলো মঞ্চের পাশে নিয়ে যান এবং স্বরাষ্ট্রামন্ত্রী মুল মঞ্চে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন পুলিশ সদস্য বেলুন বিক্রেতাকে বকাঝকা করলে বেলুন বিক্রেতা নিজেই সেগুলোতে আগুন লাগিয়ে উড়ানোর চেষ্টা করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশে বসে থাকা কৌতুক অভিনেতা আবু হেনা রনিসহ পাঁচজন দগ্ধ হন।
পরে আশপাশের পুলিশ সদস্যরা তাদের গায়ে পানি ঢেলে আগুন নেভান এবং দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আবু হেনা রনি, মোশাররফ হোসেন ও জিল্লুর রহমানকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। এর পর রাত ১০টার দিকে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন জানান, বিস্ফোরণে রনির শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। একই ঘটনায় জিল্লুর রহমান নামের একজনের দেহের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আইউব জানান, শুক্রবার রাত থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ দুজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। আজ সকাল ১০টার দিকে তাদের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
রনি ও জিল্লুরের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুজনকেই আশঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।’