চুয়াডাঙ্গায় বৃদ্ধি পেয়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা
পারিবারিক কলহে চুয়াডাঙ্গায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েগেছ। গত ২ দিনে চুয়াডাঙ্গা সদর দামুড়হুদা ও জীবননগর ৪ নারী-পুরুষ আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত শেষে ৪ মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
জানা গেছে, শনিবার (১৩ জুলাই) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় পরিবারের উপর অভিমান করে বিষপান করে বাবুল মন্ডল (৩০) নামে এক যুবক। শনিবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের মিশনপাড়ার মাইকেল মন্ডলের ছেলে৷ তিনি পেশায় ইজিবাইক চালক ছিলেন।
একই দিনে জীবননগর পুরাতন চাকলা গ্রামে বৃষ্টি খাতুন (২১) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দুপুরে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
বৃষ্টি খাতুন উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের খাসপাড়া গ্রামের বাবর আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পুরাতন চাকলা গ্রামের শহিদুলের ছেলে সুমনের (২৪) স্ত্রী।
অপরদিকে শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদরের দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিনপাড়া থেকে হামিদা ওরফে সুবর্ণা আক্তার রিয়া (৩২) নামের এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ সকাল ১১টার দিকে ও দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রাম থেকে জুবায়ের হোসেনের (২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। ওইদিন ময়নাতদন্তের পর ২ জনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন পুলিশ।
হামিদা ওরফে সুবর্ণা আক্তার রিয়া মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন বাবুখালী গ্রামের মিন্টুর মেয়ে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী নিয়ে চুয়াডাঙ্গা দৌলোদিয়ারে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
জুবায়ের হোসেন দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের চন্দ্রবাস গ্রামের দিল্লিপাড়ার আইনাল আলীর ছেলে।
পারিবারিক ও থানা সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে, পারিবারিক কলহে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গায় আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ গান।