রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রতি সাড়ে তিন মিনিট পরপর একটি করে ট্রেন চলাচল করার নিয়ম মেট্রো রেলে। তবে শুরুতে ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চালানো হবে। যাত্রীরা কিছুটা অভ্যস্ত হয়ে উঠলে এবং যাত্রী সংখ্যা বাড়লে এক ট্রেনের সঙ্গে অন্য ট্রেনের বিরতি কমিয়ে আনা হবে।
এদিকে আগামী ডিসেম্বর মাসের দিকে মেট্রোরেলে যাত্রী পরিবহন করতে চায় সরকার। উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক চলাচলের পারফরম্যান্স টেস্ট পর্ব শেষ পর্যায়ে। শুরু হয়ে গেছে শেষ ধাপের পরীক্ষা। এর আগে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ট্রেনের ফাংশনাল টেস্ট শেষ হয়েছে। পারফরম্যান্স টেস্টের কাজও প্রায় শেষ। রেলের পরিচালক সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৬টি স্টেশনের মধ্যে উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এবং আগারগাঁও এই নয়টি স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে এখনো কাজ চলমান রয়েছে বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, সচিবালয়, মতিঝিল ও কমলাপুর স্টেশনের কাজ।
জানা যায়, প্রতিটি স্টেশনে কতক্ষণ ট্রেন থামবে, কখন দরজা খুলবে কিংবা বন্ধ হবে আবার ট্রেনের ভেতর থেকে কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কিভাবে যোগাযোগ স্থাপন হবে সে বিষয়গুলোর খুঁটিনাটি দেখে নেওয়া হচ্ছে। এরপর ট্রেনের ব্ল্যাংক টেস্ট বা যাত্রীবিহীন চলাচল পরীক্ষা সেখানে মূলত যাত্রীসহ কিভাবে ট্রেন চলাচল করবে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করা হয়।
আরও জানা যায়, প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী ডিসেম্বরে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হবে সেই পর্বে চলবে ১০টি ট্রেন। প্রথম দিন ১০ মিনিট পর পর ট্রেন চলাচল করবে। দ্বিতীয় দিন হয়তো সাত মিনিটে নামিয়ে আনা হবে। ক্রমান্বয়ে যাত্রীর চাপের ওপর নির্ভর করবে কতক্ষণ পর পর ট্রেন ছাড়া হবে। অনেক বেশি যাত্রী অপেক্ষমাণ থাকলে সাড়ে তিন মিনিট পর পর ট্রেন ছাড়া হবে। ফজরের নামাজের সময় থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল করবে।’
মেট্রোরেলের টিকিটের বিষয়ে জানা যায়, মেট্রো স্টেশনে প্রথমে ঢোকার পরই দেখা যাবে, সেখানে টিকিট কিভাবে কাটা হয়। দুইভাবে টিকিট কাটা যাবে। একটা ম্যানুয়াল ব্যবস্থা, অন্যটি নিজে টিকিট কাটার ব্যবস্থা। তারপর একটা হলরুমে ঢুকতে হবে। সেই হলরুমে ৫০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে।
এদিকে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ সিম্যুলেটর সংগ্রহ করেছে। সেটি স্থাপনের কাজ চলছে। যারা ট্রেন অপারেটর করবে তাদের ১ অক্টোবর থেকে এই সিম্যুলেটরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানোর বিষয়ে জানা যায়, এর মধ্যে ১৭-১৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পোস্টারে দেওয়া মুঠোফোন নম্বরে ফোন করে পোস্টার লাগাতে নিষেধ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন এটি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে। এছাড়া মেট্রো রেল পরিচালনায় আলাদা পুলিশ বাহিনী গঠনের প্রক্রিয়াও শেষ পর্যায়ে।