নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়।
জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের ইমাম আবু সালেহ মো. সলিমউল্লাহ।
জানাজায় অংশগ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
জানাজার আগে ডেপুটি স্পিকারকে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়। জানাজা শেষে ডেপুটি স্পিকারের মরদেহবাহী কফিনে পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার এবং প্রধান বিচারপতির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে সোমবার সকালে ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ দেশে আসে।
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ফজলে রাব্বী মিয়ার। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফজলে রাব্বী। গত বছরের জুনে তার পেটে থাকা টিউমার অপসারণ করা হয়।
সে অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় ফজলে রাব্বীর শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এমন বাস্তবতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আগস্টে তাকে ভারত নেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের এই সংসদ সদস্য ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফয়জার রহমান এবং মাতার নাম হামিদুন নেছা।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ফজলে রাব্বী মিয়া মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। তিনি ১১নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে বৈশ্বিক জনমত গড়ে তুলতে তিনি কাজ করেছেন।
ফজলে রাব্বী মিয়া ১৯৮৬ সালের তৃতীয়, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ, ১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১৯৯৬ সালে ১২ জুন সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হন।
২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।