News
- ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ / ৬৭ দেখেছেন
এস এ আখঞ্জী তাহিরপুরঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার প্রত্যান্তাঞ্চলের একটি মসজিদের নির্মাণাধীন কাজ টাকার অভাবে বন্ধ রয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি পরিপূর্ণ ভাবে সম্পর্ণ করতে, দানশীল ব্যক্তি বর্গের আর্থিক অনুদানের সহযোগীতার অনুরোধ জানিয়েছেন, স্থানীয় মুসল্লীগন।
ধর্মীয় মনোভাবের প্রতি অঘাত বিশ্বাস রেখে , স্বল্প ফান্ড নিয়েই গ্রামবাসী মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। ক্রমাগত ভাবে তৈরি হয়েছে ভিত্তি প্রস্তুতসহ চার দিগের দেওয়াল। এরপরেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ক্ষতি গ্রস্ত হাওর পাড়ের দরিদ্র গোষ্ঠী। আর এর প্রভাব পড়েছে
নির্মাণ কাজে। বাধ্য হয়ে সহায়তার আরজি জানান গ্রামবাসী।
নির্মাণকাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায়,মসজিদের ছাদ ঢালাই না থাকায় নামাজ আদায় নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই মসজিদের মুসল্লিরা। অপরদিকে মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ করতে না পাড়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে,উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের শ্রীয়ারগাও গ্রামের মুসল্লিরা।
শ্রীয়ারগাও গ্রামের উত্তরপাড়ার জামে মসজিদটি গ্রায় ১৫বছরের পুরাতন। এখানে অর্ধশতাধিক পরিবারের মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন।মুসল্লিদের বেশিরভাগই অতি দরিদ্র কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।মসজিদটি ১৫বছরের পুরাতন হলেও প্রতিষ্ঠালগ্নে একটি কুঁড়েঘর ছিল।পরে গ্রামবাসীর অর্থায়নে ইটপাথর মাধ্যমে একটি বিল্ডিং অর্ধেক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
জানাযায় প্রতিষ্ঠালগ্নে মসজিদের ঢেউটিনের ভাঙা ছিদ্র দিয়ে মসজিদের ভিতরে বৃষ্টির পানি পড়তো। এছাড়াও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে নামাজ পড়তে এসে নানারকম প্রতিকূলতার মুখে পড়তেন মুসল্লিরা। পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সম্প্রতি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদির ও সাধারণ সম্পাদক আলা উদ্দিন এর উদ্যোগে গ্রামবাসীর অর্থায়নে কাজ শুরু করা হয়।কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে বেশিদূর এগুতে পারেননি তারা।উপরন্তু কারণে নতুন করে নির্মাণ কাজ করে বেকায়দায় পড়েছেন মুসল্লিরা। এখন এই মসজিদে জামাতের সাথে নামাজ আদায়ও সম্ভব হচ্ছে না ওই গ্রামের মুসল্লিদের।
মসজিদ কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদির জানান নিজেদের অপরাধী মনে হচ্ছে মসজিদের নির্মাণ কাজ ধরে শেষ করতে পারলাম না এখন মুসল্লিরা এসে নামাজ আদায় করতে পারছে না।এবারের বন্যায় এমনিতেই আমরা সর্বহারা কিভাবে নিজেদের মধ্যে টাকা আদায় করে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ করি,এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ করতে আরো প্রায় ১০লক্ষ টাকার প্রয়োজন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এমপি মহোদয়ের কাজে কতবার লিখিত ও মৌলিক আবেদন করেছি,আমাদের এই মসজিদ নির্মাণে সরকারি সহায়তার জন্য, কিন্তু কোন সহায়তা না পেয়ে আমরা এখন দিশেহারা।
গ্রামের বাসিন্দা-মসজিদের মুয়াজ্জিন আসকর আলী বলেন মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ না হলে মসজিদে এসে আর নামাজ আদায় হবে না।এখন আল্লাহ জানেন কবে টাকা-পয়সা জোগাড় হয়ে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।আমরা গ্রামের খেটে-খাওয়া গরিব মানুষ। বড় অংকের টাকা দিয়ে সাহায্য করার সামর্থ্য আমাদের নেই।জানি না মসজিদের নির্মাণকাজ কবে শেষ হবে,আর কবে জানি সুযোগ হবে মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করার।