বুধবার, ০৭ Jun ২০২৩, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তারা দিনের বেলায় বিভিন্ন পল্লী অঞ্চলে নলকূপের মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুবাদে গোপন আস্থানা গড়ে তুলে চুনারুঘাটের হাওরাঞ্চলে। পরে বিভিন্ন যানবাহন ও বাসাবাড়ি সনাক্ত করে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও বিবাড়ীয়া জেলার শক্তিশালী চক্র এক হয়ে অতিরিক্ত উপার্জনের আশায় রাতে ডাকাতি করত চক্রটি। এমন একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র। আটককৃতরা হলো, বিবাড়ীয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর এলাকার মো: কামাল হোসেনের ছেলে মন্টু ওরফে সজল (২২), উজ্জ্বল ওরফে
তোফাজ্জল (১৯)। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটি শৈলজুড়া হাসিনাবাদ এলাকার মকছুদ আলীর ছেলে মো: জাহাঙ্গীর ওরফে নয়ন (২০), আব্দুল বারিকের ছেলে জাহিদ মিয়া (২২), হাসিনাবাদ এলাকার মৃত আতর আলীর ছেলে মোশাহিদ মিয়া (২১), মর্তুজ আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২১), শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুরাবই এলাকার ফারুক মিয়ার ছেলে মারুফ (১৬), ও মৌলভীবাজার জেলার গোযারাই এলাকার মৃত সুফিয়ান ওরফে লেংড়া সুফিয়ানের ছেলে সালাউদ্দিন (২৫)। তাদেরকে গতকাল বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়। এর মধ্যে জাহাঙ্গীর ওরফে নয়ন (২০) ও মন্টু ওরফে সজল (২২) ডাকাতির ঘটনায় হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৪ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ৩ টায় শায়েস্তাগঞ্জ টু দেউন্দী রাস্তার লিজু ব্রিক্স ফিল্ডের সামনে রাস্তার উপর টলি গাড়ি দিয়ে গতিরোধ করে সিএনজি ও নোহা গাড়ির যাত্রীদের জিম্মি করে ৩ টি মোবাইল ফোন ও অর্থকড়ি লুঠে নেয়। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট থানার (ওসি) মোঃ আলী আশরাফের নেতৃত্বে এসআই ভূপেন্দ্র চন্দ্র বর্মনসহ একদল পুলিশ হাওরাঞ্চলে রাতভর অভিযান চালিয়ে নোয়াগাঁও ইয়াদুল শাহ মাজার সংলগ্ন ছাপটা ঘর তাদের গোপন আস্থানা থেকে তাদেরকে আটক করেন এবং তাদের কাছে থেকে লুন্ঠিত ৩টি মোবাইল ফোন, ম্যানিব্যাগ, নগদ টাকা, রামদা, ছুরি, লোহার রড, উদ্ধার করা হয়। ওসি মোঃ আলী আশরাফ জানান, চক্রটি গোপন আস্তানা তৈরি করে টিউবওয়েলের কাজের ফাঁকে রাতের বেলা সিএনজি, নোহা, মাইক্রো কারসহ বিভিন্ন স্থানে ওত পেতে থেকে রাস্তায় গাড়ি দেখা মাত্রই তাদের গতি রোধ করে হাতিয়ে নেয় সর্বস্ব। এমনকি বাসা বাড়ি টার্গেট করে রাতের বেলা ডাকাতি করে। এদের মধ্যে দুই ডাকাত আদালতে বিভিন্ন যানবাহনে ডাকাতি করে আসছে বলে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দিয়েছে। তিনি আরও জানান, আটকৃতদের মধ্যে কয়েকজনের একাধিক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। তারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে তাদের দেয়া তথ্যমতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।