রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন

দুই বছর পর পুরোনো চেহারায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহামারীর ধাক্কা সামলে দুই পর স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু হয়েছে স্কুল-কলেজে। আজ মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন সব বিষয়ে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সশরীর পূর্ণাঙ্গ শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরতে দুই বছরের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবকদের মনেও।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন ক্লাস শুরু হয়েছিল ২ মার্চ থেকেই। তবে মাধ্যমিকে ক্লাস হচ্ছিল সীমিতভাবে; মঙ্গলবার তারাও পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরল।

আর প্রাক-প্রাথমিকের, অর্থাৎ নার্সারি-কেজির মতো ছোট শ্রেণির ক্লাসগুলো শুরু হলো দীর্ঘ দুই বছর পর। মহামারী পরিস্থিতিতে অনলাইনেই বিভিন্ন স্কুলগুলো তাদের ক্লাস নিয়ে আসছিল। অর্থাৎ এসব স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম ক্লাসে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এতদিন চারটি বিষয়ে এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ে প্রতিদিন ক্লাস করে আসছিল। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একদিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছিল।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সব শ্রেণির ক্লাস এক সাথে শুরু হওয়ায় স্কুল এলাকাগুলোও ফিরে আসে চেনা চেহারায়।

রাজধানীর মগবাজার মোড়ে দেখা হয় মগবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী মোবারক আলমের বাবা মনিরুল আলমের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘এই দিনটির জন্য আমার ছেলে যে কত দিন অপেক্ষায় ছিল বলে বোঝাতে পারবো না। কাল রাত থেকেই ছেলে খুবই খুশি সকালে স্কুলে যাবে এটা ভেবে।’

বাবার পাশে থাকা মোবারক নিজ থেকেই বলে ওঠে, ‘বাবা শুধু বলতো স্কুলে নিয়ে যাবে কিন্তু নিয়ে আসতো না। আজ সত্যি সত্যি নিয়ে আসলো। থ্যাংকিউ বাবা।’

একই ধরনের অনুভূতির প্রকাশ পেল স্কুল শিক্ষক তাসমিয়ার আহমেদের কণ্ঠে।

তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ইস্পাহানিতে শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে এবার। সবাই বলছিল স্কুলে ভর্তি করে কি হবে? স্কুলে গিয়ে বাচ্চা তো আর ক্লাস করতে পারবে না। কিন্তু তারপরও আমি মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করেছি। সত্যিই আজকের দিনটি আমার মেয়ের জন্য সত্যিই স্পেশাল।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs