শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন

ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল, তরুণীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ধর্ষণ মামলা দায়েরের চার দিন পর তরুণীকে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এর একদিন পরেই নিজ ঘরে ভুক্তভোগী তরুণীর (২২) ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (৬ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলার একটি গ্রাম থেকে ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তরুণীর বাবা একজন দিনমজুর।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, দুই বছর ধরে বন্দর উপজেলার ওই গ্রামের নুরুল আমিনের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর সূত্র ধরে নুরুল আমিন বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ গত ২২ মে নুরুল আমিন ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। তরুণী তাঁকে বিয়ের কথা বললে তিনি অস্বীকৃতি জানান। বিষয়টি ওই তরুণীর মা জানতে পেরে নুরুল আমিনকে আসামি করে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

ওই তরুণীর মা জানান, তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। তাঁর স্বামী দিনমজুর। তাঁরা কাজে গেলে নুরুল আমিন বাড়িতে এসে তাঁর মেয়েকে বিয়ের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণ করেন। পরবর্তী সময়ে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার জের ধরে নুরুল আমিনের স্ত্রী শ্যামলী বেগম ও নুরুল আমিনের ভাগ্নে ইব্রাহিম গত রোববার তাঁর মেয়ের ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর তাঁর মেয়ে সোমবার সকাল ১০টায় নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, ওই তরুণী আত্মহত্যা করার পর থেকে ধর্ষণে অভিযুক্ত নুরুল আমিন এবং অশ্লীল ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া শ্যামলী বেগম ও ইব্রাহিম পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs