সাগর মিয়া নবীগঞ্জ প্রতিনিধি /নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর (নয়াপাড়া) গ্রামে একটি সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমিনা বেগম (৪৫) নামের এক অসহায় মহিলাকে তার স্বামীকে খুন করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রাজি হওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা প্রদানের প্রস্তাব দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইনাতগঞ্জসহ সর্বত্র তোলপাড় চলছে। ওই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ওই মহিলা প্রথমে ইউপি চেয়ারম্যান ও পরে নবীগঞ্জ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর (নয়াপাড়া) গ্রামে বিগত ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জের গত ১০ জুন রাত সাড়ে ১১ টায় একই গ্রামের মজনু হোসেন শ্রাবন গং এবং মোস্তফাপুর গ্রামের সাফু আলমরা মেম্বার আজিম উদ্দিনকে মারধোর করে তার হাত ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় মামলাও হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রজাতপুর (নয়াপাড়া) গ্রামের মজনু হোসেন শ্রাবন, রুমন হোসেন আলকাই, মালু মিয়া, জীবন আলী ও রেজিয়া বেগম এবং মোস্তফাপুর গ্রামের সাফু আলম গত ৩ আগষ্ট রাত ১১ টার দিকে অভিযোগকারী মমিনা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে প্রস্তাব দেয় তারা তার স্বামীকে খুন করিবে তার বিনিময়ে মমিনা ও তার ছেলেকে ১০ লক্ষ টাকা দিবে। মমিনারা প্রচার করিবে যে মেম্বার আজিম উদ্দিন ও তার লোকজন তার স্বামী আলেক উদ্দিনকে খুন করেছে। শ্রাবন গংদেও এহেন জঘন্য প্রস্তাবে মমিনা বেগম ও তার ছেলে রাজি হয়নি। এ ঘটনা উপস্থিত স্বাক্ষীসহ স্থানীয় চেয়ারম্যান নোমান হোসেনকে জানালে তিনি থানা অথবা কোর্ঠে মামলা করার পরামর্শ দেন। শ্রাবন গংদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা চলে যাওয়ার সময় ঘটনা কাউকে বললে তাদের ক্ষতি হবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। পরে মমিনা বেগম বাদি হয়ে শ্রাবন গং ৬ জনের বিরুদ্ধে গত শনিবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ইনাতগঞ্জসহ নবীগঞ্জের সর্বত্র তোলপাড় চলছে।