নবীগঞ্জের রাজন হত্যা কান্ডে বিচারের দাবীতে মানববন্ধন
নবীগঞ্জে বাজার ব্যবসায়ী রাজন হত্যা কান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। শুক্রবার বাদ জুম্মা রসূলগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আয়োজনে রসূলগঞ্জ বাজারে মানব বন্ধনটি অনুষ্টিত হয়।উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, যুবক,ছাত্র ,মহিলা শিশুসহ অসংখ্য লোকজন অংশ গ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, রসূলগঞ্জ বাজার সভাপতি সেকুল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সামাদ মিয়া,
আঃ কাদির মুরুব্বি, আঃ ছুবান, মংগা মিলা, ফয়জুর রহমান, নুরুল হক, জয়নাল মিয়া, নিহত রাজনের মা,ভাই মগল মিয়া, স্ত্রী নিশি বেগম , মুহিত মিয়া, মুজিব মিয়া প্রমুখ। নিহত রাজন মিয়া (২০) হলেন নবীগঞ্জ বাউসা ইউনিয়নের সুজাপুর গ্রামের কায়ুম মিয়ার পুএ।
রাজনের স্ত্রী নিশি বেগম তার বক্তব্যে বলেন,রাজন মিয়া তার বড় ভাই মগল মিয়ার লিজকৃত নতুন বাজারে ফিসারিতে কাজ করে।
রাজন মিয়ার সাথে একই গ্রামের আজিজুর মিয়ার ১ মাস পূর্বে টাকা নিয়ে বিরোধ হয়েছিল। গ্রাম্য সালিশ বিচারে তা সমাধান হয়। সমাধানের পর ৭,৮ দিন তাদের মধ্যে কোন দেখা সাক্ষাৎ ছিল না। এরপর থেকেই প্রায় সময় আজিজুর রহমান রাজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে তার বাড়িয়ে যায়।
ঘটনার দিন রাতে ১০ টার সময় আজিজুর রহমান তার সাথে তার ভাই সাইফুল মিয়া,নাঈম আহমেদ,সাগর মিয়া,সাগর আহমেদকে সাথে নিয়ে ২টি মোটরসাইকেল নিয়ে রাজনের খোঁজে তার বাড়িতে যায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার খোজে নতুন বাজার ফিশারিতে গিয়ে তাকে সাথে নিয়ে নবীগঞ্জ বাজারে আসে। নবীগঞ্জ বাজারে এসে তারা হোটেলে রাতের খাবার খায়। রাতের খাবার শেষে আজুজির রহমান রাজনকে সাথে নিয়ে নতুন বাজার যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে রওনা হয়।
নবীগঞ্জ-হবিগঞ্জ রোডের পৌর এলাকার শান্তিপাড়া এলাকায় এসে চলতি মোটরসাইকেল থেকে থাকে পিছন থেকে মাথায় আঘাত করে মোটরসাইকেল রেখে তারা পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেল থেকে প্রায় ১০০ হাত দূরে রাজন মিয়াকে স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যান। রাজনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক থাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজনের পরিবার ও এলাকাবাসীরা দাবী জানান
সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর সুষ্ঠ বিচার এর দাবী করেন।
























