শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০২:১৫ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
শান্তিগঞ্জে অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই আটক বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে স্বাধীনতার ৫১ বৎসরে উন্নয়ন বঞ্চিত বীর শহীদের গ্রাম বানিয়াচংয়ের মাকালকান্দি ব্রাজিলের বড় জয়ের দিনে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল আর্জেন্টিনা বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনের ইনডোর সংস্কারের আনুষ্টানিক উদ্ভোধন। শিক্ষার ভাল পরিবেশ তৈরীতে প্রয়োজন দায়িত্বশীল ভূমিকা-এমপি আবু জাহির কাকাইলছেওয়ে সরকারি জায়গায় এক্সেভেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে পুকুর ও বসতভিটা নির্মাণ মাধবপুরে শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন লাখাইয়ে ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

নবীগঞ্জের সাঁকোয়া গ্রামের দুঃখ বাঁশের সাঁকো

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাও ইউনিয়ন। মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে কুশিয়ারা নদী। এক সময় নদীটিতে তীব্র স্রোতের দেখা মিললেও এখন আর সেই দৃশ্য নেই। বর্তমানে শান্ত এক নদী নাম কুশিয়ারা। নদীটি শান্ত হলেও অশান্তির শেষ নেই দু’পাড়ের বাসিন্দাদের। এ পাড়ে বড় সাঁকোয়া গ্রাম। আর নদীর অপারে ছোট সাঁকোয়া গ্রাম। এছাড়াও আশপাশে রয়েছে আরো অন্তত ১০ থেকে ১২টি গ্রাম।
বর্তমানে দুই সাঁকোয়া গ্রামের দুঃখ হয়ে দাঁড়িয়েছে কুশিয়ারা নদীর মধ্যে থাকা বাঁশের সেই সাঁকোটি। যা পারাপারের একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই এলাকার মানুষদের জন্য। আর এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন জড়াজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে তারা চলাচল করলেও একটি ব্রিজ নির্মাণের কোনো উদ্যোগই নিচ্ছেন না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

সাঁকোয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই সাঁকোয়া গ্রামের মধ্যে থাকা বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। আবার অনেককেই ছোট ছোট নৌকা দিয়েও মালামাল আনা নেওয়া করতে দেখা গেছে। এমতাবস্থায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে দীর্ঘ বাঁশের সাঁকোটি পারাপার থেকে সময় বেশি লাগায় বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, আমাদের এখানে যদি একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হতো তা হলে আমাদের এতো দুর্ভোগের শিকার হতে হতো না। দুর্ভোগে থাকা অন্যান্য গ্রামগুলো হল, সর্দারপুর, পুরারুস্তমপুর, পথে নগর, কালিয়ারভাঙ্গা, ছোট সাঁকোয়া, বড় সাঁকোয়া।
এছাড়াও আশপাশের আরো অন্তত ৩ থেকে ৪ গ্রামের বাসিন্দারা এ সাঁকোটি ব্যবহার করে থাকেন। চলতে চলতে কথা হয় ৩০ বছর বয়সী ফসল মিয়া নামে এক যুবকের সঙ্গে।
আক্ষেপের সুরে তিনি  জানান, একটি ব্রিজের জন্য যুগের পর যুগ ধরে আমরা অপেক্ষা করছি। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা কথা দিয়েও কথা রাখছেন না। যে কারণে আমরা নিজের শরীর নিয়ে চলাচল করতে পারলেও মালামাল আনা নেওয়া করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে আমাদের।

এছাড়াও মোটরসাইকেল কিংবা কোনো যানবাহন এখান দিয়ে পারাপার করা যায় না। যার ফলে আমাদের এলাকাটি মূল এলাকা থেকে বিচ্ছিন্নই বলা চলে। তাই তিনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কলেজ ছাত্র রনি জানান, নবীগঞ্জ শহরে আসা যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এ রাস্তাটি। কিন্তু নদীর কুশিয়ারা ভাগে ব্রিজ না থাকায় আমাদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। একটি বাইসাইকেলও সাঁকো দিয়ে পারাপার করা যায় না। ফলে আমাদের অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে।

কৃষক রহিম মিয়া জানান, আমাদের চাষাবাদের জমি নদীর দুই পাড়েই রয়েছে। তাই চাষাবাদ করার সময় কৃষি যন্ত্রপাতি এপার থেকে ওপার দিয়ে আনা কষ্ট হয়ে যায়। ফসল আনা-নেয়া করতে কষ্টের পাশাপাশি ব্যয় বেশি হয়ে যায়। তাই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে আমরা উভয় পাড়ের লোকজন উপকৃত হতাম।

এ বিষয়ে করগাঁও ইউপির নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নির্মলেন্দু দাশ রানা জানান, আমি সবেমাত্র বিজয়ী হয়েছি। এখনও শপথ নেইনি। দায়িত্ব পাওয়ার পর এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs