মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১১ অপরাহ্ন

নবীগঞ্জ পৌর এলাকায় ত্রিমুখি বাধায় হচ্ছে না বহু কাঙ্খিত ব্রীজ

নবীগঞ্জ প্রতিনিধি একটিমাত্র ব্রীজের অভাব। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম হয়ে নবীগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠারও ২৫ বছর পেরিয়ে গেছে। তারপরও ৩নং ওয়ার্ড শাখা-বরাক নদীর হাসপাতালের সামনে ব্রীজটি হলো না। আর এই ব্রীজ না হওয়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরসভার কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের। খাতায় কলমে ব্রীজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে তিনবার। অদৃশ্য এক শক্তির কাছে সেটাও বাস্তবায়নে উদাসীন জনপ্রতিনিধিরা। কারোই যেন নেই মাথা ব্যাথা। পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী প্রায়ই বলে আসছেন মামলা জটিলতার কারণে ব্রীজ হচ্ছে না। এ ধরণের বক্তব্যকে দায়সাড়া বলে, মন্তব্য করে আসছেন সচেতন মহল। পৌরবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আনমনু
শাপলা যুব সংঘের উদ্যোগে প্রতি বছরই মেরামত করা হচ্ছে সাকোটি। বন্যার পর এই বাঁশের সাকোটি লড়বড়ে হয়ে পড়ে।
এদিকে, জীবন ঝুকি নিয়ে গুরুতর অসুস্থ্য রোগীদের নিয়ে এ সাকো দিয়ে হাসপাতালে যান এলাকার মানুষ। একটি ব্রীজের জন্য পৌরবাসীর এমন দুর্ভোগ দেখে বিগত পৌরসভা নির্বাচনের সময় নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে এসে এই ব্রীজ নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দেন ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বছর পেরিয়ে গেলেও ব্যারিষ্টার সুমনের প্রতিশ্রæতিও বাস্তবায়ন হতে দেখেনি পৌরবাসী। এতে শুধু আশার বাণীই শুনে আসছে হাজারো মানুষ। এনিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় বিগত ৫ বছর যাবত সংবাদ প্রকাশ করা হলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্টদের। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পৌর এলাকার প্রায় ৬/৭ গ্রামের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। বাবু নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে ব্রীজ না থাকার কারণে রাতের বেলা জীবন ঝুকি নিয়ে অসুস্থ্য রোগীদের নিয়ে যেতে হয়। প্রথমশ্রেণীর খেতাবপ্রাপ্ত পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও যদি একটি মাত্র ব্রীজের অভাবে জীবনঝুকি চলচল করতে হয়। তাহলে গ্রামগঞ্জের অজপাড়াগাও মনে হয় এর চেয়ে ভালো আছে’। জহির মিয়া নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে ব্রীজ না থাকার কারণে ছোট বাচ্চারা সব চেয়ে বেশি হুমকির মুখে রয়েছে। সকাল হলেই এই বাঁশের সাকো দিয়ে প্রতিদিন প্রাইমারী স্কুলের কোমরমতি শিশুরা চলাচল করে। একটি ভয় থাকে কখন না বাচ্চা গুলো পানিতে ডুবে একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এখানে ব্রীজটি খুবই জরুরী’। স্থানীয়রা আরো জানান, পৌরসভা বিগত ২৫ বছর আগে হাসপাতাল যাওয়ার জন্য এখানে পাকা সড়ক তৈরী করে দিয়েছে। যেখানে পৌরসভার সড়কের মূল পথ রয়েছে সেখানে নদীর ওপর ব্যক্তিমালিকানা সম্পত্তি কি করে হয়? ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান নানু বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি ব্রীজটি নির্মাণ করার জন্য। তবে এখানে একটি প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে ব্রীজটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র ছাবির আহমেদ চৌধুরী বার, বার বলে আসছেন এখানে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের মালিকানা জায়গা দাবী করে আসছে। মামলাও রয়েছে। আর মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ব্রীজ হচ্ছে না’।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই বাঁশের সাকোর অংশ পৌরসভার পাকা সড়কের মূল প্রবেশ পথ চরগাও গ্রামের প্রভাবশালী একজন জনপ্রতিনিধির মায়ের জায়গা বলে দাবী করছে। এছাড়াও একই গ্রামের তথাকথিত বিএনপি নেতা কাঠ ব্যবসায়ী জনৈক ব্যক্তি ও দাবী করছে জায়গাটি তাদের। অপর দিকে ব্রীজটি নির্মাণে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন জেলা পরিষদের সাবেক এক সদস্য।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs