বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১১:৪৫ অপরাহ্ন

নেই বৃষ্টি, দাম চড়া ইলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৃষ্টি না হওয়ায় মেঘনায় নেই তেমন পানি। আর পানি কম থাকায় জেলেদের জালে উঠছে না ইলিশও। বাজারে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ না আসায় দামও আকাশছোঁয়া। ধনীদের নাগালে থাকলেও মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্নবিত্তদের ধরাছোঁয়ার বাইরে। দুই সপ্তাহ ধরে এমনই চিত্র লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের।

হাট-বাজারে ইলিশ কম থাকায় দেড় থেকে দিগুণ দামে বিক্রি করতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টি না থাকায় মেঘনা নদীতে পানির চাপ কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে জেলেদের জালেও ধরা পড়ছে না প্রত্যাশিত ইলিশ।

শনিবার উপজেলার খাসের হাট, হাজিমারা, হায়দরগঞ্জ, মিতালি বাজার ও রায়পুর বাজারসহ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে কিছু ইলিশ নিয়ে বিক্রেতারা বসে আছেন। বেশির ভাগই ছোট ও মাঝারি আকারের। ছোট আকারের ইলিশই বেশি কিনছেন কিছু কিছু ক্রেতা।

হাজিমারা বাজারের মাছ বিক্রেতা আবুল কালাম মাঝি বলেন, ইলিশের ভরা মৌসুম আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। অন্যান্য বছর এ সময় বাজারে মোটামুটি ভালো পরিমাণের ইলিশ আসতো। প্রতিটি বাজারে প্রতিদিন গড়ে দুই-আড়াই মণ ইলিশ বিক্রি হতো। এবার চিত্র ভিন্ন। এখন প্রতিদিন গড়ে প্রতিটি বাজারে ২০-২৫ কেজি ইলিশও উঠছে না। বেশি দামের কারণে বিক্রিও হচ্ছে না তেমন।

খাসের হাট বাজারের মাছ বিক্রেতা হানিফ মিয়া বলেন, ১৪-১৫ দিন ধরে বাজারে ইলিশের আমদানি খুব কম। এখন এক কেজি ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায়, ৮০০-৯০০ গ্রাম প্রতিকেজি ইলিশ ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকায়, ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের প্রতিকেজি ইলিশ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে ‘টেম্পু ইলিশ’ নামে পরিচিত ছোট আকারের প্রতি কেজি ইলিশ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রায়পুর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, মেঘনা নদীতে পানির চাপ কম থাকায় প্রত্যাশিত ইলিশ ধরা পড়ছে না জেলেদের জালে। চলতি মাসে বৃষ্টি শুরু হলে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে নদীতে। তখন দামও কম থাকবে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.