শনিবার, ১০ Jun ২০২৩, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট একদিকে পোল্যান্ড। অন্যদিকে বেলারুশ। দুই দেশের সীমান্ত অঞ্চলে হিম ঠাণ্ডায় প্রাণ ওষ্ঠাগত কয়েক হাজার অভিবাসীর। কোনো দেশই তাদেরকে গ্রহণ করতে রাজি নয়। এসব অভিবাসী চান পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে। কিন্তু তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের সীমান্ত প্রহরীরা। এ নিয়ে আটকে পড়া এসব অভিবাসীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। নিক্ষেপ করা হয়েছে কাঁদানে গ্যাস। জলকামান থেকে ছিটানো হয়েছে পানি।
পক্ষান্তরে অভিবাসীরা প্রহরীদের দিকে নিক্ষেপ করেছে ইটপাটকেল। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল জাজিরা বলছে, কুজনিকা সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অভিবাসীরা পোল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। পোল্যান্ডের প্রহরীরা তাদেরকে বাধা দিচ্ছে। কিন্তু ভয়ানক নিম্ন তাপমাত্রায় ওই অঞ্চলে শিশু, নারী ও যুবকদের অবস্থা বিপর্যয়কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়ে এসব মানুষ পোল্যান্ড সীমান্তের দিকে অগ্রসর হলে প্রহরীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
পোল্যান্ডের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সেনা সদস্য ও প্রহরীদের দিকে ইটপাথর নিয়ে হামলা করেছে অভিবাসীরা। তারা জোর করে পোল্যান্ডে প্রবেশের চেষ্টা করছে।
স্থানীয় এনজিওগুলোর জোট গ্রুপা গ্রানিকা সীমান্তে এসব অভিবাসীকে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে। এর কর্মকর্তা মার্তা সিমান্দারস্কা আল জাজিরাকে বলেছেন, পোল্যান্ডের শক্তি প্রয়োগ পুরোপুরি অন্যায়। এই সমস্যা একেবারে শুরুতেই সমাধান করা উচিত ছিল। পোল্যান্ড যে শক্তি প্রয়োগ করছে তা শুধু বেআইনিই নয়, একই সঙ্গে অমানবিক। ওদিকে সংঘর্ষে কোনো অভিবাসী আহত হয়েছেন কিনা তা জানা যায়নি। তবে কমপক্ষে একজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পোলিস বর্ডার গার্ড বলেছে, বেলারুশ সীমান্ত থেকে কুজনিকা সীমান্তের দিকে জমায়েত হয়েছেন এসব অবৈধ অভিবাসী। তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে নতুন নতুন গ্রুপ। জোর করে তারা সীমান্ত অতিক্রম করে প্রবেশের চেষ্টা করছে। সবকিছুই ঘটছে বেলারুশ বাহিনীর তত্ত্বাবধানে।
মঙ্গলবার সীমান্তের কাছে অধিক পরিমাণ পুলিশ এবং নিরাপত্তা রক্ষাকারী মোতায়েন করে পোল্যান্ড। দেশটির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করছে এর মধ্য দিয়ে এসব অভিবাসীকে জোর করে পোল্যান্ড এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই এলাকা থেকে যেসব ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করা হয়েছে, তাতে দেখা যায়, অভিবাসীদের ওপর জলকামান থেকে স্প্রে করার পর তারা সীমান্ত থেকে দৌড়ে দূরে সরে যাচ্ছে। বিকেল নাগাদ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।