শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০৩:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বগুড়ায় তিন উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
সোমবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার বাসের ধাক্কায় ৫৫ বছর বয়সী নজরুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। সদরের বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের এরুলিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নজরুল বগুড়া সদরের ছিলিমপুর উত্তরপাড়া এলাকার মমতাজের ছেলে। তিনি বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার কুন্ডগ্রাম ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বগুড়া উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুর রহিম জানান, নজরুল তার সহকর্মী আইনুর রহমানের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে আদমদীঘি উপজেলায় নিজ অফিসে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন আইনুর। তারা এরুলিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে নজরুল মোটরসাইকেল থেকে মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বগুড়া কাহালু উপজেলায় ট্রাকচাপায় আব্দুল্লাহ আল হাবিব নামে এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হন।
উপজেলার নওগাঁ-বগুড়া মহাসড়কের ডেপুইল বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিব বগুড়া সদরের মালগ্রাম এলাকার দৌলতুজ্জামানের ছেলে। তিনি দুঁপচাচিয়া উপজেলায় রেইনবো এনজিওতে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কাহালু থানার ওসি মো. আমবার হোসেন জানান, হাবিব মোটরসাইকেলযোগে তার কর্মস্থল বগুড়া দুপচাঁচিয়া উপজেলায় যাচ্ছিলেন। পথে ডেপুইল বাজারে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কে পড়ে যান তিনি। ঐ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাক তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহারা বেওয়া নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে এদিন বেলা পৌনে ১২ টার দিকে উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের কলেজরোড এলাকায় রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি।
এছাড়াও শেরপুর উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের হাজীপুরে বাস-ট্রাক ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নিহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
বগুড়া শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম বানিউল আনাম জানান, বাস-ট্রাক ও মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষের পরপরই উদ্ধার কাজ চালানো হয়। দুর্ঘটনা কবলিত যানগুলো মহাসড়কে উল্টে পড়ে থাকায় কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে দ্রুত সেগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।