বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ‘বঙ্গবন্ধু ধান১০০’ জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনালী ধানে ভরে গেছে উপজেলার ২টি বিলের ১০০ বিঘা জমি। এসব জমির কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তাদের চোখে মুখে এখন রঙ্গিন স্বপ্ন।
আজ রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের এ ধান কর্তন শুরু হয়েছে। উপজেলার বাগান উত্তরপাড়া বিলে কৃষক মফিজ শেখের জমির ধান কর্তনের মাধ্যমে এ উপজেলার ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের ধান কর্তন শুরু হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে ধান কর্তন অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায়সহ কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট নতুন জাতের ধান বঙ্গবন্ধু ১০০ আবিস্কার করেছেন। আজকে সেই জাতের ধান জাতির জনকের পূর্ণভূমি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শোভা পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিটুল রায় বলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনষ্টিটিউট থেকে আমাদের এ উপজেলায় বিনামূল্যে ৩০০ কেজি ধান দিয়েছিল। সেই ধান আমরা ৩ কেজি করে ১০০ জন কৃষককে দিয়েছিলাম। এসব কৃষকরা ১০০ শত বিঘা জমিতে এই ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’ জাতের ধান রোপণ করেছিলেন। এ জাতের ধানের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তাই এসব কৃষকরা এ জাতের ধান রোপণ করে খুবই আনন্দিত।
বাগান উত্তরপাড়া গ্রামের কৃষক মফিজ শেখ বলেন, গত বছর আমি আমার এই জমিতে হাইব্রিট হিরা জাতের ধান রোপণ করেছিলাম। এবছর আমি ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’জাতের ধান রোপণ করেছি। গত বছরের চেয়ে এ বছর আমার ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু দরিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) এর উপপরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ তোজাম্মেল হক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’জাতের ধানের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো এটি একটি জিংক সমৃদ্ধ ধান। এতে জিংকের পরিমান ২৫.৭ মিলিগ্রাম। যা মানবদেহের জিংকের ঘাটতি পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।
বঙ্গবন্ধু দরিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড) এর মহাপরিচালক সৈয়দ রবিউল আলম বলেন, দেশের কৃষকগণ যাতে ‘বঙ্গবন্ধু ১০০’জাতের ধান রোপণে উদ্বুদ্ধ হয় তার জন্য বাপার্ড কাজ করে যাবে।