রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপির কর্মসূচিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব নিহতের ঘটনায় জেলায় চলছে দলটির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকালে জেলার দোকানপাটগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সকাল থেকে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সকাল ৮টার দিকে হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
সকাল থেকেই রিকশা, অটোরিকশা চলাচল করলেও অন্যান্য যানবাহন বন্ধ রয়েছে। তবে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। এদিকে বিশৃঙ্খলা এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে হরতালে শতভাগ সমর্থন দিয়েছে সাধারণ মানুষ। সকাল থেকে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মী আর পুলিশ ছাড়া কেউ নেই। আমি ঢাকায় আমাদের সভাপতি নূরে আলম ভাইয়ের লাশের সঙ্গে রয়েছি। এখানে ১১টায় প্রথম জানাজা শেষে লাশ নিয়ে ভোলায় ফিরব। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, শহরের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি দাবি করেন, হরতালে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি শহরে। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। ভোর হওয়ায় দোকানপাট এখনো খোলার সময় আসেনি। যানবাহন স্বভাবিকভাবেই চলাচল করছে।
ভোলা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলী সুজা জানান, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের পাশাপাশি ম্যাজিস্ট্রেট প্রস্তুত রয়েছেন।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে একটি দল ভোলা এসে পৌঁছেছে। তারা জেলা নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে গত রবিবারের ঘটনা শুনেছেন। আজ জেলা বিএনপি অফিসে তাদের প্রেস ব্রিফিংয়ের কথা রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতারা নিহত নুরে আলম ও রহিমের বাড়িতে সমবেদনা জানাতে যাবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার (৩১ জুলাই) ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিএনপি। সেখানে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম প্রাণ হারান। এ ঘটনায় পুলিশ ও বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এর মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
গুলিবিদ্ধদের একজন ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম। ঢাকার এক হাসপাতালে লাইফসাপোর্টে থাকা অবস্থায় বুধবার (৩ আগস্ট) তিনি মারা যান।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।