রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন

বৃষ্টির ভেঙে গেছে চুনারুঘাট ত্রিপুরা পল্লীর একমাত্র সেতু বিপাকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির অন্তত ২০টি পরিবার।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বৃষ্টির তোড়ে ভেঙে গেছে হবিগঞ্জের সাতছড়ির জাতীয় উদ্যানের ত্রিপুরা পল্লীতে যাতায়াতের একমাত্র সেতু। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির অন্তত ২০টি পরিবার। প্রয়োজনীয় কাজেও টিলা থেকে বের হতে পারছেন না তারা।তিনদিন ধরে অনেকটা টিলাবন্দি হয়ে পড়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যোনের ছোট একটি টিলায় ২৪টি ত্রিপুরা পরিবারের বাস। গেল চার বছর ধরে ভারীবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এই টিলায় দেখা দিচ্ছে ভাঙন। গত দুই বছরে ভাঙনে বিলীন হয়েছে চারটি পরিবারের বসতভিটা। বর্তমানে তারা টিলা ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে।

গত মঙ্গলবার ভোররাত থেকে হবিগঞ্জে ভারী বর্ষণে ত্রিপুরা পল্লীর পাশের ছড়াতে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়। এতে ভেঙে যায় পল্লীতে যাতায়াতের একমাত্র সেতুটি। সেই সাথে সেতুর গোড়া থেকে মাটি সরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার চরম বিপাকে পরেছেন ত্রিপুরা পল্লীর বাসিন্দারা। টিলা থেকে প্রয়োজনীয় কাজে বের হতে পারছেন না তারা। আবার কেউ কেউ সেতুর নিচ দিয়ে প্রবল স্রোতের মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ত্রিপুরা পল্লীর হেডম্যান (মন্ত্রী) চিত্তরঞ্জন বর্মণ বলেন, ‘চার বছর ধরেই আমাদের টিলা ভেঙে পড়ছে। এরই মধ্যে চারটি পরিবারের বসত ভিটা ভেঙে যাওয়ায় তারা টিলা ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা বারবার টিলাকে বাঁচানোর জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু এর কোন সমাধান হচ্ছে না।তিনি বলেন, ‘গত মঙ্গলবার ভোররাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলে প্রবল স্রোতে সেতুটি ভেঙে গেছে। এছাড়া সেতুর গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়ায় সেতুটি ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না।’

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তার মাহমুদ হাসান বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে গেলেও আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। আপাতত তারা নিচ দিয়ে চলাচল করছেন। আমরা বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।’ এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিককে বলেন, ‘এটা যে অবস্থাতে আছে তা এখন মেরামত করলে বৃষ্টি হলে আবার ভেঙে পড়বে। আমরা আপাতত বাঁশ দিয়ে যাতায়াত উপযোগী করেছি।তিনি বলেন, ‘তারা যদি ওই জায়গা ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে চায় তাহলে প্রশাসন থেকে তাদের ঘর বানিয়ে দেবে। এটা অনেক ব্যয়বহুল কাজ। আমরা বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছি।’

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs