শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০২:০১ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
শান্তিগঞ্জে অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই আটক বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে স্বাধীনতার ৫১ বৎসরে উন্নয়ন বঞ্চিত বীর শহীদের গ্রাম বানিয়াচংয়ের মাকালকান্দি ব্রাজিলের বড় জয়ের দিনে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল আর্জেন্টিনা বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনের ইনডোর সংস্কারের আনুষ্টানিক উদ্ভোধন। শিক্ষার ভাল পরিবেশ তৈরীতে প্রয়োজন দায়িত্বশীল ভূমিকা-এমপি আবু জাহির কাকাইলছেওয়ে সরকারি জায়গায় এক্সেভেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে পুকুর ও বসতভিটা নির্মাণ মাধবপুরে শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন লাখাইয়ে ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

বড়শিতেই চলে তিন বোনের পেট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ   রহিমা, ফাতেমা ও জরিনা। তারা তিন বোন। সবার বয়সই এখন ৫০-৬০ কোটায়। কিশোরী থাকতেই বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি। স্বামীদের অভাবের সংসার হওয়ায় ধরতে হয় হাল। পেটের দায়ে খালে-বিলে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছেন। ৩০ বছর ধরে এভাবেই চলছে তিন বোনের জীবন। বড়শিতে মাছ উঠলে পেটে জোটে ভাত। তবু বড়শিতে নির্ভর করেই চলছে তাদের সংসার।

তিন বোনের বাড়ি বরগুনার তালতলী উপজেলার নিউপাড়া এলাকায়। নদী কিংবা খালে নৌকায় বসে বড়শির ছিপ ফেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে মাছ ধরেন রাহিমা, ফাতেমা ও জরিনা। শিকার করা সেসব মাছ বাজারে বিক্রি করেই চলে তাদের অভাবের সংসার। তবে নদ-নদীতে দিন দিন মাছ কমে যাওয়ায় এখন কোনোমতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। তবে আজ পর্যন্ত কোনো ধরনের সরকারি সহযোগিতা পাননি তারা। এমনটিই জানিয়েছেন এ তিন বোন।

নিউপাড়া এলাকার গিয়ে দেখা গেছে, প্রচণ্ড রোদে স্লুইসগেট সংলগ্ন নদীতে সারিবদ্ধ নৌকায় বসে বড়শির ছিপ ফেলে মাছ পাওয়ার আশায় বসে আছেন তিন বোন। কারো বড়শিতে চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, বোয়াল আবার কারো বড়শিতে ধরা পড়ে কোড়াল, রুই, পাঙাশসহ নানা প্রজাতির মাছ। এসব মাছ বাজারে নিয়ে ২৫০-৫০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয়। এভাবেই প্রতিদিন একেকজন ৩০০-৪০০ টাকা রোজগার করেন। আবার কোনো কোনো দিন তাদের খালি হাতেও ফিরতে হয়।

তিন বোন জানান, স্লুইসগেট সংলগ্ন নদীতে মাছ থাকলে তাদের সংসারের সব সদস্যর পেটে ভাত জোটে। কোনোদিন মাছ না থাকলে পেটে ভাতও জোটে না। তবু সংসার চালাতে ৩০ বছর পর্যন্ত বাবার বড়শির ছিপ ধরে আছেন তারা।

বড়ে বোন রাহিমার সঙ্গে একই এলাকায় বাদশা হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পরেই সংসারের হাল ধরেন রাহিমা। বিয়ের ১০ বছর পর স্বামী অসুস্থ হয়ে কর্মহীন পড়েন। তখন রাহিমা ওই নদীতে বড়শির ছিপ ফেলে মাছ ধরে পাঁচজনের সংসার চালানোর দায়িত্ব নেন। একই এলাকার সুলতান হাওলাদারের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমার। তার স্বামীও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বড় বোন রাহিমার পেশাকেই বেছে নেন। এরপর ছোট বোন জরিনার বিয়ে হয় প্রতিবেশী খালেক মোল্লার সঙ্গে। তিনি সুস্থ থাকলেও সংসারের অভাব-অনটনে মানুষের বাড়িতে কাজ করেন। কিন্তু যা আয় রোজগার করেন তা দিয়ে তাদের সংসার চলে না। তাই জরিনাও বড় দুই বোনের পেশাকে বেছে নেন।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওসার হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমি খোঁজখবর নিয়ে ও বিষয়টি জেনে ওই তিন বোনকে সরকারিভাবে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করবো।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs