ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নবীগঞ্জ শহরসহ ৭টি গ্রামের মানুষ জন শুন্য যৌথবাহিনী অভিযান ১৩ জন আটক Logo হবিগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই Logo নবীগঞ্জে ভয়াবহ সংঘর্ষ নিহত ১ আহত কয়েক শতাধিক Logo জুলাই অভ্যুত্থানে নৃশংস হামলার আসামি ও দালাল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি Logo ৪দিনের উত্তেজনার পর নবীগঞ্জে কয়েক হাজার মানুষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত কয়েক শতাধিক Logo নবীগঞ্জ দফায় দফায় সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত Logo এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১০ জুলাই Logo হবিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাবেক নেতা সাকিব গ্রেপ্তার Logo শায়েস্তাগঞ্জ থানার সাবেক ওসি কামালের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা: সাংবাদিকসহ ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ Logo হবিগঞ্জে ছুরিকাঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

মাধবপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট নেই ৩০ বছর ধরে

মাধবপুর(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ৩০ বছর ধরে র্ফামাসিস্টের পদটি শূন্য থাকায় প্রতিদিন এখানে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা কর্তব্যরত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে কর্মরত র্ফামাসিস্ট মরতুজ আলীর মৃত্যুর পর আজ পযর্ন্ত এই পদে কাউকে পদায়ন করেনি র্কতৃপক্ষ। পাশাপাশি এ কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা, আয়া এবং এমএলএসএস পদগুলোও বছরের পর বছর ধরে শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য সেবায় স্থবিরতা বিরাজ করছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ রোগী এখানে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার র আশায় আসেন। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলামের পক্ষে সবাইকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। রোগী দেখা আবার ডিসপেনসারিতে গিয়ে রোগীকে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দেয়ার কাজটিও তাকেই করতে হয়। ফলে সময় নষ্ট হয়।সবাইকে প্রয়োজনীয় ট্রিটমেন্ট করা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়।

২০২১ সাল থেকে এখানে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ও আয়ার পদটি শুন্য। বর্তমানে নোয়াপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিজিটর শিখা রানী বনিক সপ্তাহে একদিন প্রতি মঙ্গলবার ছাতিয়াইনে এসে দায়িত্ব পালন করেন। এসব কারনে কাজকর্মে সমন্বয়হীনতা ও স্থবিরতা বিরাজ করছে বলে জানায সূত্রটি। জানা যায় ২০১৯ সালে এ কেন্দ্রে কর্মরত এমএলএসএসএস আব্দুল কাইয়ুম সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে এ পদটিও শুন্য।

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘অনেক কষ্টে সবকিছু ম্যানেজ করতে হচ্ছে। আমাকে আবার সপ্তাহে একদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবু রোগীদের সর্বোচ্চ সাপোট দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমরুল হাসান- এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে লিখা হয়েছে।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ রত্নদ্বীপ বিশ্বাস জানান, ‘এসব বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি। শুন্যপদ পূরনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে রিকুইজিশন দেয়া আছে।’

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:২১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
২১ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট নেই ৩০ বছর ধরে

আপডেট সময় ০৫:২১:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ৩০ বছর ধরে র্ফামাসিস্টের পদটি শূন্য থাকায় প্রতিদিন এখানে স্বাস্থ্য সেবা নিতে আসা কর্তব্যরত কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে কর্মরত র্ফামাসিস্ট মরতুজ আলীর মৃত্যুর পর আজ পযর্ন্ত এই পদে কাউকে পদায়ন করেনি র্কতৃপক্ষ। পাশাপাশি এ কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা, আয়া এবং এমএলএসএস পদগুলোও বছরের পর বছর ধরে শূন্য থাকায় স্বাস্থ্য সেবায় স্থবিরতা বিরাজ করছে। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ রোগী এখানে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার র আশায় আসেন। উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলামের পক্ষে সবাইকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। রোগী দেখা আবার ডিসপেনসারিতে গিয়ে রোগীকে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দেয়ার কাজটিও তাকেই করতে হয়। ফলে সময় নষ্ট হয়।সবাইকে প্রয়োজনীয় ট্রিটমেন্ট করা তার জন্য কঠিন হয়ে যায়।

২০২১ সাল থেকে এখানে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা ও আয়ার পদটি শুন্য। বর্তমানে নোয়াপাড়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভিজিটর শিখা রানী বনিক সপ্তাহে একদিন প্রতি মঙ্গলবার ছাতিয়াইনে এসে দায়িত্ব পালন করেন। এসব কারনে কাজকর্মে সমন্বয়হীনতা ও স্থবিরতা বিরাজ করছে বলে জানায সূত্রটি। জানা যায় ২০১৯ সালে এ কেন্দ্রে কর্মরত এমএলএসএসএস আব্দুল কাইয়ুম সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকে এ পদটিও শুন্য।

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, ‘অনেক কষ্টে সবকিছু ম্যানেজ করতে হচ্ছে। আমাকে আবার সপ্তাহে একদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দায়িত্ব পালন করতে হয়। তবু রোগীদের সর্বোচ্চ সাপোট দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমরুল হাসান- এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের কাছে লিখা হয়েছে।

হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ রত্নদ্বীপ বিশ্বাস জানান, ‘এসব বিষয়ে আমরা সচেতন রয়েছি। শুন্যপদ পূরনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে রিকুইজিশন দেয়া আছে।’