মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০১:০৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১১ আগস্ট সকাল তখন ৯টা বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য অটোরিকশা স্ট্যান্ডে আসেন সুপ্তা রানি। ওই অটোরিকশাচালক মতিন মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন। সুপ্তা রানী সেখানে আসা মাত্রই মতিন মিয়া তাকে ডেকে সিএনজিতে তোলেন।
বিদ্যালয়ের কাছাকাছি গাড়িটি যাওয়ার পর নামতে চান সুপ্তা রানী। কিন্তু সেখানে না নামিয়ে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে রঘুনন্দন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন চালক ও তার সহযোগীরা। এ সময় সুপ্তা ধস্তাধস্তি করলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চালক ও তার সহযোগীরা আঘাত করেন। একপর্যায়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলে ‘মারা গেছেন’ মনে করে তাকে রাস্তায় ফেলে দেয় চালক ও তার সহযোগীরা। বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল তারা। ঘটনাটি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের।
সুপ্তা রানী দাশ শায়েস্তাগঞ্জ নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার মামদপুর গ্রামের পবিত্র রঞ্জন দাশের মেয়ে।জানা যায়, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষক সুপ্তা রানি দাশকে অটোরিকশার চালক ও তার সহযোগীরা অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাধা দেওয়ায় অটোরিকশার ভেতরেই তাকে মারধর করে তারা। এরপর রাস্তায় ফেলে দিয়ে ‘দুর্ঘটনা’ বলে সাজানো হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এ ঘটনায় সোমবার সুপ্তা রানীর ছোট ভাই পুলক দাশ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় চুনারুঘাট উপজেলার বদরগাজী গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে সিএনজিচালক মতিন মিয়াকে আসামি করা হয়। এছাড়া তিন-চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মামলার পর আসামি মতিন মিয়াকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই অটোরিকশাটি উদ্ধারের চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে মামলা করতে দেরি হওয়ায় আসামিরা পালানোর সুযোগ পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ১১ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ শহরের পোস্ট অফিস-সংলগ্ন সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে আসেন সুপ্তা রানি। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সিএনজি অটোরিকশাচালক মতিন মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান করছিলেন। সুপ্তা রানী সেখানে আসা মাত্রই মতিন মিয়া তাকে ডেকে সিএনজিতে তোলেন। বিদ্যালয়ের কাছাকাছি গাড়িটি যাওয়ার পর সুপ্তা রানি তাকে নামিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু সেখানে না নামিয়ে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে রঘুনন্দন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন চালক ও তার সহযোগীরা। এ সময় সুপ্তা ধস্তাধস্তি করলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চালক ও তার সহযোগীরা মারাত্মক আঘাত করেন
একপর্যায়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলে ‘মারা গেছেন’ মনে করে সুপ্তা রানিকে চালক ও তার সহযোগীরা রাস্তায় ফেলে দেয়। বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছিল তারা। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হবিগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মো মাওলা জানান, বিষয়টি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন যেহেতু মামলা হয়েছে, পুলিশ সঠিক তদন্ত করে সত্য ঘটনা উন্মোচিত কর