সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট স্বপ্নের মতো বছর কেমন হয়? লিওনেল মেসির বছরটা কি তেমনই ছিল? প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা হয়তো ঠিকঠাক বলা যাবে না, তবে দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটা দেওয়াই যায়, ‘অবশ্যই না’। তবে ২০২১ সালের শেষটা আনন্দ ও উৎসবেরেই হলো। ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডি অর জিতলেন তিনি।
বছরটা কেন স্বপ্নের মতো যায়নি, সেটিই বলে নেওয়া যাক। ২১ বছরের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বার্সেলোনার সঙ্গে। কাঁদতে কাঁদতে বিদায় বলেছেন প্রিয় ন্যু ক্যাম্পকে। মেসি কেঁদেছিলেন আরও একদিন। ১৪ জুলাই। ব্রাজিলের মারাকানায় যেদিন তাদেরই হারিয়ে জিতেছিলেন আরাধ্য আন্তর্জাতিক শিরোপা।
দেশকে ২৮ বছর পর এনে দিয়েছিলেন কোপা আমেরিকা শিরোপা। ওই টুর্নামেন্টে মাঠে ছিলেন ৬৩০ মিনিট। ৪ গোল ও ৫ অ্যাসিস্ট করে হয়েছিলেন টুর্নামেন্টসেরাও। ধুঁকতে থাকা বার্সেলোনাকেও জিতিয়েছিলেন কোপা দেলরে শিরোপা, লা লিগায় করেছিলেন তৃতীয়ও। ক্লাবটির হয়ে লা লিগাতেই করেছেন ৩০ গোল।
সবকিছুর স্বীকৃতি যেন মেসি পেলেন সোমবার রাতে। ফ্রান্সে এক বর্ণিল সন্ধ্যায় জিতলেন ক্যারিয়ারের সপ্তম ব্যালন ডি অর। পেছনে ফেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ তারকা রবার্ট লেভান্ডভস্কিকে। এবারের ব্যালন জিতে মেসি উঠে গেছেন চূড়ায়। আগে থেকেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার জেতা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর চেয়ে একটি বেশি ব্যালন ডি অর ছিল তার।
এবার সংখ্যাটা করলেন দুই। সবচেয়ে বেশি ব্যালন ডি অর যে তার- এটি বোধ হয় বলাই বাহুল্য। এখনও খেলছেন এমন খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্যালন আছে কেবল একজনের, লুকা মদ্রিচ একবারই জিতেছিলেন ২০১৮ সালে।
১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু করা হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পুরস্কারটি শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এরপর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যেনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ২০০৭ সাল থেকে কেবল ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেওয়া শুরু হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।
২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। এরপর তারই রাজত্ব চলতে থাকে, বার্সেলোনার জার্সিতে টানা তিনটি ব্যালন ডি’অর জেতেন আর্জেন্টাইন এই ফুটবল জাদকুর। ২০১৫ সালে পঞ্চম ও ২০১৯ সালে সপ্তম ব্যালন ডি’অর জেতেন মেসি। সবগুলোই বার্সার হয়ে জেতেন, এবারই প্রথম অন্য ক্লাবের হয়ে পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।