মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০১:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়েছে।
আজ সোমবার আড়াইটার দিকে তার শহীদ মিনারে আনা হয়। মরদেহে প্রথমেই রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রয়াত এ নেত্রীর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান দলের নেতারা।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আমির হোসেন আমুসহ অন্যরাও শ্রদ্ধা জানান। এর আগে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন- জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি।
প্রসঙ্গত, রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। প্রবীণ এ রাজনীতিকের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শোকবার্তা প্রকাশ করেছে।
তিনি ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সৈয়দা। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈয়দা।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।