ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo শায়েস্তাগঞ্জে ছাত্রদলের বর্ণাঢ্য র‌্যালী অনুষ্ঠিত Logo ভারতে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করছে বিএসএফ: মমতা Logo শুধু ব্যক্তি নয়, জনস্বার্থে ব্যবসা করা উচিত: প্রধান উপদেষ্টা Logo অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি Logo গণঅভ্যুত্থানে আহতদের শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন Logo ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সব ধ্বংস করে দিয়েছে-আহমেদ আলী মুকিব Logo যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে’র যাত্রা শুরু Logo নবীগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা র‍্যালী অনুষ্ঠিত Logo মানুষমাত্রই উদ্যোক্তা, তারা শ্রমিক না: প্রধান উপদেষ্টা Logo নিহত-আহতদের সহযোগিতা পেতে চিকিৎসকদের সত্যায়িত কপি লাগবে: সারজিস

শায়েস্তাগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শেষ হয়ে যায় ট্রেনের টিকেট ॥ বেশি টাকা দিলে মিলে

স্টাফ রিপোর্টার

শায়েস্তাগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শেষ হয়ে যায় ট্রেনের টিকিট। পড়ে বেশি টাকা দিলে মিলে টিকেট। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে কাউন্টার ও অনলাইনে একযোগে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই সমুদয় টিকিট উধাও হয়ে যায়। ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম উভয় পথের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিটের এক-ই অবস্থা।

এরপরও কিছু টিকিট প্রত্যাশী নির্ধারিত সময়ে কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কাউন্টার থেকে পাওয়া যায় না আন্তনগর ট্রেনের টিকেট নামক সোনার হরিণ। একই অবস্থা অনলাইনেও। নির্ধারিত সময়ের আগে থেকে অবিরাম চেষ্টা করলেও অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট পাওয়া সম্ভব হয় না।

তবে কাউন্টার কিংবা অনলাইনে টিকিট পেতে ব্যর্থ হলেও কিছু অসাধু কর্মচারিদের কাছে সব সময় আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকেট পাওয়া যায়। কাঙ্খিত টিকিটের দ্বিগুণ তিনগুণ দাম দিলে রেল কাউন্টারের সামনেই রেলওয়ের অসাধু কর্মচারীর হাতে পাওয়া যায় আন্তঃনগর ট্রেনের সব শ্রেণির টিকিট।

মাঝে মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কালোবাজারিদের ধরলেও এসব মাষ্টার মাইন্ডের টিকেটের রাঘব বোয়াল বরাবরের মতোই থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। যার ফলে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। এমন কি শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে কাঙ্খিত গন্তব্যের টিকিট না পেলে, ওই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে শমসেরনগর, কুলাউড়া, ভানুগাছ, শ্রীমঙ্গল, মাইজগাঁও, সিলেট, শাহজীবাজার, নোয়াপাড়া, মনতলা, আজমপুর রেল স্টেশন থেকে।

এগুলোর ব্যবস্থা করে অসাধু রেল কর্মচারী ও কালোবাজারী চক্রটি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেলপথের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট কালোবাজারীদের কাছে হরহামেশাই পাওয়া যায়। তবে কারা এসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করছে তা জানেন না স্টেশনের ম্যানেজার। দায়িত্বশীলদের এমন ‘অন্ধত্বের সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী চক্র।

’ শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী রুহুল আমিন কদ্দুছ জানান, অনেক কষ্টে বেশি দাম দিয়ে একটি চট্টগ্রামের টিকিট কিনেছি। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী মুক্ত রাখার জন্য টিকিটের গায়ে যাত্রীর নাম ও মোবাইল নম্বর দেয়া আছে। তবে টিকিট বাহক যাত্রী, টিকিটে উল্লেখিত ব্যক্তিই কি-না তা যাচাই করা হয় না।

ফলে, কালোবাজারে টিকিট বেচাকেনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সিলেট বিভাগের ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন। ২০১৩ সালে মডেল স্টেশনে রূপান্তর করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে ১৫টি ট্রেন চলাচল করছে।

কিন্তু প্রত্যেকটি ট্রেনের টিকেটের বরাদ্দ শায়েস্তাগঞ্জে মাত্র ২০টির বেশি। কিন্তু টিকেট বিতরণের সময় থেকেই টিকেট পাওয়া যায় না।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০২:০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪
৭৩ বার পড়া হয়েছে

শায়েস্তাগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শেষ হয়ে যায় ট্রেনের টিকেট ॥ বেশি টাকা দিলে মিলে

আপডেট সময় ০২:০২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

শায়েস্তাগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই শেষ হয়ে যায় ট্রেনের টিকিট। পড়ে বেশি টাকা দিলে মিলে টিকেট। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে কাউন্টার ও অনলাইনে একযোগে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই সমুদয় টিকিট উধাও হয়ে যায়। ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম উভয় পথের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিটের এক-ই অবস্থা।

এরপরও কিছু টিকিট প্রত্যাশী নির্ধারিত সময়ে কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কাউন্টার থেকে পাওয়া যায় না আন্তনগর ট্রেনের টিকেট নামক সোনার হরিণ। একই অবস্থা অনলাইনেও। নির্ধারিত সময়ের আগে থেকে অবিরাম চেষ্টা করলেও অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট পাওয়া সম্ভব হয় না।

তবে কাউন্টার কিংবা অনলাইনে টিকিট পেতে ব্যর্থ হলেও কিছু অসাধু কর্মচারিদের কাছে সব সময় আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকেট পাওয়া যায়। কাঙ্খিত টিকিটের দ্বিগুণ তিনগুণ দাম দিলে রেল কাউন্টারের সামনেই রেলওয়ের অসাধু কর্মচারীর হাতে পাওয়া যায় আন্তঃনগর ট্রেনের সব শ্রেণির টিকিট।

মাঝে মধ্যে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা কালোবাজারিদের ধরলেও এসব মাষ্টার মাইন্ডের টিকেটের রাঘব বোয়াল বরাবরের মতোই থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে। যার ফলে কালোবাজারে টিকেট বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। এমন কি শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে কাঙ্খিত গন্তব্যের টিকিট না পেলে, ওই ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে শমসেরনগর, কুলাউড়া, ভানুগাছ, শ্রীমঙ্গল, মাইজগাঁও, সিলেট, শাহজীবাজার, নোয়াপাড়া, মনতলা, আজমপুর রেল স্টেশন থেকে।

এগুলোর ব্যবস্থা করে অসাধু রেল কর্মচারী ও কালোবাজারী চক্রটি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম রেলপথের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট কালোবাজারীদের কাছে হরহামেশাই পাওয়া যায়। তবে কারা এসব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে বিক্রি করছে তা জানেন না স্টেশনের ম্যানেজার। দায়িত্বশীলদের এমন ‘অন্ধত্বের সুযোগে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী চক্র।

’ শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রী রুহুল আমিন কদ্দুছ জানান, অনেক কষ্টে বেশি দাম দিয়ে একটি চট্টগ্রামের টিকিট কিনেছি। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী মুক্ত রাখার জন্য টিকিটের গায়ে যাত্রীর নাম ও মোবাইল নম্বর দেয়া আছে। তবে টিকিট বাহক যাত্রী, টিকিটে উল্লেখিত ব্যক্তিই কি-না তা যাচাই করা হয় না।

ফলে, কালোবাজারে টিকিট বেচাকেনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সিলেট বিভাগের ঐতিহ্যবাহী শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশন। ২০১৩ সালে মডেল স্টেশনে রূপান্তর করা হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে ১৫টি ট্রেন চলাচল করছে।

কিন্তু প্রত্যেকটি ট্রেনের টিকেটের বরাদ্দ শায়েস্তাগঞ্জে মাত্র ২০টির বেশি। কিন্তু টিকেট বিতরণের সময় থেকেই টিকেট পাওয়া যায় না।