News
- ১৯ মে, ২০২২ / ৭৮ দেখেছেন
মোঃ আবদুল হক রেনু, শায়েস্তগঞ্জ উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার তালুক হড়াই নামক স্থানে এক একর জমির উপর অবস্থিত। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি একটি টিনসেটের রুম মেরামত করে সেখানে চলে আসছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৪ বছরেও প্রস্তাবিত ৫০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখনো চালু হয়নি।
গত ২০২১ সালে অক্টোবরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ৩১ শয্যার অনুমোদন দেয়া হয়। এজন্য ৮জন ডাক্তার নার্সসহ স্টাফ মিলে ৩৩জন জনবল নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় ও
সরকারি বরাদ্দ না থাকায় ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে পুরোপুরি ভাবে স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম ও শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন, নুরপুর ইউনিয়ন, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভাসহ অন্তত দেড়লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এর পূর্বে ২০১৪ সনের ২৯ নভেম্বরে হবিগঞ্জের নিউফিল্ড মাঠে আওয়ামীলীগ আয়োজিত জন সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ঘোষণা করেন। ২০১৭ সনের ২০ নভেম্বরে নিকারের (প্রশাসনিক পূর্ণবিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি) সভায় শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়।
সাড়ে ৩৯ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই উপজেলায় রয়েছে ১টি পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন। এ ছাড়া ও হবিগঞ্জ জেলার সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম স্থান হওয়ায়, দেশের বিভিন্ন স্থানের লোক জনের পদচারণা রয়েছে শায়েস্তাগঞ্জে। কেউ অসুস্থ হলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এতে করে দূর্ভোগে পড়তে হয় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা রোগীদের।
২০১৭ সনের ১২ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবিত নার্স ও স্টাফ মিলে ৪৭টি পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু এত কম জনবল দিয়ে ৫০ শয্যা হাসপাতাল পরিচালনা করা সম্ভব না হওয়ায় পরে হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস থেকে ১১১টি পদ সৃষ্ট করার জন্য লিখিত ভাবে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। গত ২০২১ইং সনের ১৪ নভেম্বর স্থায়ীভাবে যোগদান করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল জমাদ্দার। তাকে সহযোগিতা করছেন ২ জন সহকারি সার্জন, ১জন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট, ১ জন উপ-সহকারি মেডিকেল অফিসার ও ১ জন অফিস সহকারি।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুল জমাদ্দার বলেন, ৩১ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে শুরু করার জন্য পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু উপযুক্ত ভবন না পাওয়ায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, ভবন নির্মাণ না হওয়ায় তাদেরকে কাজে যোগদান করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া এখানে নেই তাদের থাকা খাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, তিনি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহোদয়কে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পরিদর্শন করেছেন তিনি অচিরেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর পাশে খালি জায়গায় একটি সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করে দিবেন। এজন্য ৮ জন ডাক্তার ও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘর নির্মাণ না হওয়ায় ডাক্তাররা প্রেষণে সংযুক্তিতে হবিগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা হাসপতালে আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভবন নির্মাণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। সকল দপ্তরেই যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এখনো জমি অধিগ্রহন হয়নি। জমি অধিগ্রহনের চেষ্টা চলছে। সরকারি বরাদ্দ সাপেক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ করা হবে।