রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
ইশতিয়াক শোভনঃ শহরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকায় অবস্থিত হবিগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। আর অফিসটির ছাদের দৈর্ঘ্য মাত্র ২২শ’ত স্কয়ার ফিট। মাত্র ২২শ স্কয়ার ফিটের এ ছাদে ১২০ প্রজাতির প্রায় ৩শত গাছ লাগিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। যা নজর কেড়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের। সারি সারি টবে লাগানো এসব গাছ দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি ছাদের বাতাসেও যেন বইছে এক অন্যরকম অনুভূতি। শিক্ষা অফিসের এই ছাদ বাগানে
যেমন রয়েছে ফুল ফলের ছাড়া তেমনি রয়েছে ঔষধসহ ভেষজ গাছের ছাড়া। আর দীর্ঘদিন যাবত এ ছাদ বাগানটি যিনি পরিচর্যা করে গড়ে তোলেছেন তিনি হলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল্লাহ।
রুহুল্লাহ জানান, দেশে করোনার প্রথম ভয়াল থাবায় সারা দেশের মানুষ যখন ঘরবন্দি ঠিক তখন থেকেই প্রকৃতিকে ভালোবেসে এ ছাদ বাগানের কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। আর কাজের ফাঁকে ফাঁকে গত ৩ বছর ধরে বাগানটির পরিচর্যা করে আজকের এই দৃষ্টিনন্দন বাগান গড়ে তোলেন তিনি। শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তিনি হবিগঞ্জে যোগদান করেন। ওই বছরই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক সভায় বিভাগীয় কমিশনার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের ছাদ বাগান করার নির্দেশনা দেন। এরপর তিনি তিন তলা ভবনের ছাদে নিজ প্রচেষ্ঠায় বাগানটি গড়ে তোলার কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম দিকে মাল্টা, কমলা ও আমের চারা দিয়ে বাগান শুরু করেন। বছর শেষে বাগান থেকে মিষ্টি ও সুস্বাদু মাল্টা এবং আম পাওয়া যায়। পর্যায়ক্রমে তিনি কামরাঙা, ডালিম, সফেদা, লেবু, জলপাই, পেয়ারা, বরই, আমড়া, মিষ্টি আলু, বরবটি, পেঁপে, ঝিঙা, কড়লা, ডাটাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল, ফুল, সবজির গাছ লাগান। পরবর্তীতে সেখানে নিমগাছ, বনজুঁই, তুলসী, চিরতা, থানকুনি, পাথরকুচি, কালোকেশী, বাসক, অর্জুন, জবা, বেলি, তেজপাতাসহ বিভিন্ন জাতের ঔষধি গাছও রয়েছে। বর্তমানে তার বাগানে ১২০ প্রজাতির তিনশ’ গাছ রয়েছে। রুহুল্লাহ আরো জানান, বাগানের পরিচর্যা সম্পূর্ণ তিনি নিজেই করেন। তার এই ছাদ বাগান দেখতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এসে পরিদর্শন করে যান। এ সময় তিনি সবাইকে স্কুল, কলেজ ও বাসার ছাদে এমন বাগান গড়ে তুলার অনুরোধ জানান।