শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
নওগাঁ প্রতিনিধি ,মাটি দোআঁশ ও বেলে দোঁআশ হওয়ায় ফলন বেশ ভালো হয়। আগাম জাতের হওয়ায় দাম তুলনামূলকভাবে ভালো পাওয়া যায়। ফলন কম হলেও দাম বেশি পাওয়ায় আগাম শিম চাষে ঝুঁকছেন নওগাঁর কৃষকরা।
জেলায় কৃষি জমিতে ফুলে ফুলে ভরে গেছে শিমগাছ। কৃষক শিমক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষকরা জানান, কীটনাশকের দাম অনেকটা বেশি। কিন্তু পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি শিম ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হওয়ায় বেশ লাভ হবে।
জানা যায়, এ বছর জেলায় ৬০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও ১০০ হেক্টর জমিতে শিম চাষ করা হয়েছে। তবে আগাম জাতের ফসল হওয়ার কারণে পোকামাকড়ের উপদ্রব একটু বেশি। তাই সময়মতো কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সদর উপজেলার কীর্তিপুর গ্রামের এক কৃষক বলেন, এবার ২ বিঘা জমিতে শিমের আবাদ করেছি। গাছে ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে বাজারে বিক্রি করতে পারব। আশা করছি এবারও লাভবান হবো।
মান্দা উপজেলার মৈনম গ্রামের এক কৃষক বলেন, বাজারে দাম বেশি হওয়ার কারণে লাভ হবে বলে আশা করছি।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. খিজির হোসেন বলেন, শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার হেক্টর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এটি বেড়ে ৮ হাজার ৪০০ হেক্টরে পৌঁছেছে। এর মধ্যে শিম ৪৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। শীতকালীন ৩৫০ হেক্টর এবং আগাম শিম ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আগাম শিম চাষ লাভজনক হওয়ার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ৬০ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে।