শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:

শুক্রবার ‘রাজপূণ্যাহ’ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে মহালছড়া মং রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপি সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘রাজপূণ্যাহ’ শুরু হতে যাচ্ছে।

শুক্রবার থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রকারের উৎসব আয়োজন এবং মেলা এবার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন, রাজপূণ্যাহ উদযাপন কমিটি।

রাজপূণ্যাহ উদযাপন কমিটি’র সদস্য-সচিব ও গোলাবাড়ি মৌজা’র হেডম্যান উক্যসাইন চৌধুরী জানান, শুক্রবার সকালে উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে দিনব্যাপি পূণ্যাহ সভায় শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী। এছাড়াও খাগড়াছড়ি ও গুইমারা রিজিয়ন’র অধিনায়ক, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন।

১১ ডিসেম্বর সকাল থেকে বার্ষিক রাজস্ব খাজনা আদায় অনুষ্ঠানে মং সার্কেল চিফ বা রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী দিনভর ৮৮টি মৌজা’র প্রধান বা হেডম্যান এবং ৭০১ জন পাড়া প্রধানের (কার্বারি) কাছ থেকে খাজনা ছাড়াও বিভিন্ন উপঢৌকন গ্রহণ করবেন। এদিন রাজবাড়িতে হেডম্যান-কার্বারিদের মধ্যাহ্ন ভোজের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।জানা গেছে, ১২ ডিসেম্বর নারী হেডম্যান ও নারী কার্বারিদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংরক্ষিত নারী এমপি বাসন্তী চাকমা প্রধান অতিথি এবং মং রানী উখ্যেংচিং মারমা চেীধুরী সভাপতিত্ব করবেন। তৃতীয় দিনের আনুষ্ঠানিকতায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমা এবং ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।

রাজপূণ্যাহ উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হিরণজয় ত্রিপুরা জানান, প্রতিবছর ঐতিহ্যবাহী এই আয়োজন পার্বত্যাঞ্চলের তিনটি সার্কেলে বিভক্ত বসতির জনগণের কাছে একটি ভিন্নধর্মী আবেদন রাখে। রাজপূণ্যাহ ঘিরে ব্যাপক উৎসব আয়োজনও হয়ে থাকে কিন্তু করোনা মহামারির কারণে এবার জনগুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোই সমাধান করা হবে।

মং সার্কেল চিফ সাচিংপ্রু চৌধুরী জানান, ‘রাজপূণ্যাহ’ অনুষ্ঠান এবার অত্যন্ত ছোট আকারে করতে হচ্ছে।

এ বারের রাজপূণ্যাহ’র প্রত্যাশা স্বরুপ সাচিংপ্রু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত ভূমি ব্যবস্থাপনাকে সমুন্নত রাখা, ১৯০০ সালের শাসনবিধি (হিলট্র্যাক্ট ম্যানুয়েল) অধিকতর কার্যকর করা, হেডম্যান-কার্বারিদের সম্মানী বৃদ্ধিসহ ক্ষমতায়িত করা, হেডম্যানদের কার্যালয় নির্মাণ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থায়ী বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs