বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট , দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্য স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ—এই বিশ্বাস পোষণ করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শ্রীকৃষ্ণের এই আবির্ভাব তিথিকে ভক্তরা শুভ জন্মাষ্টমী হিসেবে উদ্যাপন করে থাকেন। আজ বৃহস্পতিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করবেন ভক্তরা।
সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই শক্তিকে দমন করে মানবজাতির কল্যাণ এবং ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটেছিল।
এ উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সরকার আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনসহ বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কেন্দ্রীয়ভাবে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্য রয়েছে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়। শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় গীতাযজ্ঞ, বিকেলে ঐতিহাসিক জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা ও রাতে তিথি অনুযায়ী কৃষ্ণ পূজা। তৃতীয় দিনে শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) জন্মাষ্টমী উপলক্ষে স্বামীবাগ আশ্রমে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে।
এছাড়া রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশন, স্বামী ভোলানন্দ গিরি আশ্রম, প্রভু জগদবন্ধু মহাপ্রকাশ মঠ, রাধামাধব জিও দেব বিগ্রহ মন্দির, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, শিব মন্দির, রামসীতা মন্দির ও মাধব গৌড়ীয় মঠসহ বিভিন্ন মন্দির, পূজামন্ডপ ও ধর্মীয় সংগঠন জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।