শুক্রবার, ০২ Jun ২০২৩, ০২:৩১ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:
শান্তিগঞ্জে অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই আটক বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে স্বাধীনতার ৫১ বৎসরে উন্নয়ন বঞ্চিত বীর শহীদের গ্রাম বানিয়াচংয়ের মাকালকান্দি ব্রাজিলের বড় জয়ের দিনে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল আর্জেন্টিনা বাজেটে ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনের ইনডোর সংস্কারের আনুষ্টানিক উদ্ভোধন। শিক্ষার ভাল পরিবেশ তৈরীতে প্রয়োজন দায়িত্বশীল ভূমিকা-এমপি আবু জাহির কাকাইলছেওয়ে সরকারি জায়গায় এক্সেভেটরের মাধ্যমে অবৈধভাবে পুকুর ও বসতভিটা নির্মাণ মাধবপুরে শহীদ রাষ্টপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন লাখাইয়ে ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ

সিগারেটের দাম বাড়লে ৩০ শতাংশ ধূমপায়ী ধূমপান ছাড়বে

ডেস্ক রিপোর্ট  সিগারেটের দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো গেলে ৩০ শতাংশ সিগারেট ব্যবহারকারীই সিগারেট ব্যবহার ছেড়ে দিতে চেষ্টা করবেন। আরও ৩০ শতাংশ সিগারেট ব্যবহার কমিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আজ বুধবার ঢাকায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় পরিচালিত ‘তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধির সম্ভাব্য প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ পরিসংখ্যানগুলো তুলে ধরা হয়।

সম্প্রতি পরিচালিত দেশব্যাপী জরিপভিত্তিক গবেষণা থেকে উন্নয়ন সমন্বয় দেখিয়েছে যে, সিগারেটের দাম বাড়ানো হলে ৭১ শতাংশ মানুষ আগের মতো সিগারেট ব্যবহার অব্যাহত রাখতে খাদ্য বাবদ ব্যয় কমাবেন না। গত নভেম্বর ২০২১-এ দেশের পাঁচটি জেলার ৬৫০টি তামাক ব্যবহারকারী নিম্ন আয়ের পরিবারের ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এই আলোচনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত, এমপি (সিরাজগঞ্জ-২); এবং ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সাংসদ (গাইবান্ধা-১)।

প্যানেল আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন হোসেন আলী খোন্দকার (সমন্বয়কারী, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল); এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমান (লিড পলিসি অ্যাডভাইজার, সিটিএফকে, বাংলাদেশ)। এছাড়াও বিভিন্ন তামাক-বিরোধী সংস্থার প্রতিনিধি ও গবেষকবৃন্দ আলোচনায় অংশ নেন।

তামাক পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ফলে খাদ্য বা অন্য পণ্য বাবদ ব্যয় কমিয়ে দেবার সম্ভাবনা নিতান্ত কম বলে আলোচকরা অভিমত ব্যক্ত করেন।

কাজেই সংসদ সদস্য, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তামাক-বিরোধী সামাজিক সংস্থাসহ সকল অংশীজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপ নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া উচিৎ বলে তারা মনে করেন।

ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার যে লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন সেখানেও তামাক পণ্যের ‘বর্তমান শুল্ক কাঠামো সহজ’ করার মাধ্যমে তামাক ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি এগুলো বিক্রয় থেকে পাওয়া রাজস্বের পরিমাণ বৃদ্ধির নির্দেশনা ছিলো। সে আলোকেই আসন্ন অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ সকল তামাক পণ্যে কার্যকর করারোপের প্রস্তাব করছেন তামাক-বিরোধী সংগঠন ও গবেষক।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs