রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘উচ্চকণ্ঠে উচ্চারো আজ মানুষ মহীয়ান’ এমনি প্রত্যয়ে দেশব্যাপী আবৃত্তি অনুষ্ঠান আয়োজনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হলো আবৃত্তি আয়োজন।
রোববার (১৪ নভেম্বর) বিভাগীয় শহর সিলেটের রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ এমপি।
কবিতায় শান্তি ও মানুষের জয়গান প্রাণে প্রাণে ছড়িয়ে দিতে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহর ও সকল জেলা সমূহের আবৃত্তিশিল্পীদের নিয়ে পুরো নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাস জুড়ে চলবে এই আয়োজন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ। আরো উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের আহ্বায়ক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও সদস্য সচিব রূপা চক্রবর্তী।
নৃত্যশৈলীর উদ্বোধনী নৃত্য এবং মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে দেশব্যাপী আয়োজনের সূচনা করা হয়। মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে এর উদ্বোধন করেন কবি তুষার কর। এরপর স্বাগত বক্তব্য নিয়ে আসেন বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত।
সভাপ্রধান প্রফেসর শামীমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গৌতম চক্রবর্তী, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, দেওয়ান সাঈদুল হাসান, বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের সদস্য সচিব বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী রূপা চক্রবর্তী এবং আহ্বায়ক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন- একটি অস্থির সময় পার হচ্ছি আমরা। একদিকে ইতিহাসের হাতছানি, অপরদিকে মানবিক অপচয়। একদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের সমাপ্তি রেখা আঁকবার আয়োজন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে বিজয় দিবসের বর্ণাঢ্য উদযাপন পরিকল্পনা ও অপরদিকে একই দেশের নাগরিকদের ধর্মপরিচয়ে বিভক্ত হতে চাওয়ার বীভৎস পাঁয়তারা।
তিনি বলেন- ‘বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এদেশে সকলে নিজ নিজ ধর্মপালন করবে, কেউ কারো উপর খবরদারি করবে না। সোনার মানুষ চেয়েছিলেন তিনি। তাঁর জন্মশতবর্ষে আমরা অঙ্গিকৃত, অবশ্যই লড়বো আমরা সংস্কৃতির জন্যে, মানবিক বাংলাদেশের জন্য, সোনার মানুষের জন্য। গড়ে তুলবো সকল কূপমণ্ডূকটার বিপক্ষে এক প্রবল আবৃত্তি প্রাচীর।’
রূপা চক্রবর্তী তার বক্তব্যে বলেন- ‘মানুষকে আমরা আশার বানী শোনাচ্ছি। আমরা কাজে বিশ্বাস করি। রবীন্দ্র আদর্শে আস্থা রাখি ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। সেই বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করবো’।
আলোচনা সভার পরপর শুরু হয় সমবেত এবং একক পরিবেশনা। সমবেত পরিবেশনা নিয়ে আসে আবৃত্তি সংগঠন শ্রুতি সিলেট এবং দ্বৈতস্বর।
একক পরিবেশনার প্রথমেই আবৃত্তি পরিবেশন করেন- সিলেটের চারটি জেলার আবৃত্তিশিল্পী দেবাশীষ চৌধুরী, দেবাশীষ তালুকদার, মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, সৈয়দ মনসুর আহমেদ সোমেল।
এরপর একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন- আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, জ্যোতি ভট্টাচার্য, নন্দিতা দত্ত, নাজমা পারভীন, সুমন্ত গুপ্ত, অসিত বরণ দাশ গুপ্ত, রোহেনা দিপু, ফাতেমা রশিদ সাবা, অমিত ত্রিবেদী, তামান্না ইসলাম, আবু বকর আল আমিন, রুবেল আহমেদ, চৈতী দেবনাথ।
অতিথি আবৃত্তিশিল্পী হিসেবে আবৃত্তি পরিবেশন করেন বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব দেওয়ান সাঈদুল হাসান, ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু, যুগ্ম সদস্য সচিব মাসকুর-এ-সাত্তার কল্লোল, নাজমুল আহসান, আবু নাছের মানিক, মাসুম আজিজুল বাসার, মজুমদার বিপ্লব, ফারুক তাহের, মো. মুজাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদের সম্মানীয় আহ্বায়ক বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।