News
- ১৯ নভেম্বর, ২০২৩ / ২৬ দেখেছেন
সৈয়দ শাহান শাহ পীর || অযত্নে অবহেলা আর রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় ৮শ’ বছরের ঐতিহ্য শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং-সুরাবই গ্রামে প্রত্নতাত্ত্বিক-পুরাকীর্তির নিদর্শন পড়ে আছে।
জানা যায়, প্রত্নতাত্ত্বিক-পুরাকীর্তি এদেশের জাতীয় সম্পদ। প্রায় হাজার বছরের ঐতিহ্যে লালিত এ নিদর্শন সংরক্ষণের আইন থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
সুরাবই মধ্য গ্রামের মোঃ জিতু মিয়ার বাড়ির পাশে সিলেট বিজয়ী হযরত শাহজালাল রহঃ এর বিশ্রামের স্থানটি আজ
প্রত্নতাত্ত্বিক-পুরাকীর্তির নিদর্শন হওয়া সত্বেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অযত্নে অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেটের তথা বাংলাদেশের বাদশা এবং ৩৬০ আউলিয়ার সরদার হযরত শাহজালাল রহঃ এর স্মৃতি বিজড়িত উক্ত সূরাবই গ্রামে অবস্থিত কিন্তু কোনো কাজে আসছে না।
গ্রাম-এলাকাবাসী পবিত্র এ স্থানটি তারা নিজেরাই নামে মাত্র সংরক্ষণ করে আসছেন।
প্রায় ২০ হাত দৈর্ঘ্য এবং ১০ হাত প্রস্থ বিশিষ্ট ঐতিহাসিক এস্থানটি আজও সরকারিভাবে পাকাকরণ হয়নি।
বিশ্বস্ত সূত্র লেখক ডক্টর এস এম ইলিয়াস এর বরাত দিয়ে জানা যায, উল্লেখিত
স্থানে বসে বিশ্রামের প্রাক্কালে হযরত শাহজালাল রহঃ সহযোদ্ধাদের নিয়ে পরামর্শ করেন। আর সেই থেকেই উক্ত গ্রামের নাম হয় সুরাবই।
“সুরা অর্থ পরামর্শ আর বই অর্থ বসা” অর্থাৎ দু’ইয়ে মিলে সুরাবই গ্রামের নামকরণ হয়, সুরাবই। যদি সরকারিভাবে একটু উদ্যোগ আর পৃষ্ঠপোষকতা পেতো তাহলে পর্যটক এবং সংস্কৃতিমনা, সুশীল সমাজ আর গণমানুষের নজর কারতো উক্ত পবিত্র প্রত্নতাত্ত্বিক পুরাকীর্তির স্থানটির।