ঢাকা ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ধোপাজান নদীতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ১৩ কোটি টাকার মালামাল জব্দ

জাহাঙ্গীর আলম ভুঁইয়া, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে সুনামগঞ্জ জেলার সদর ও বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে ১৩৪ টি বালু বোঝাই নৌকা,বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ ৮টি ড্রেজার মেশিন জব্দসহ ৪ জনকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১৩ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল দশটা থেকে ধোপাজানা বালু মহল ও চলতি নদীর দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টাস্কফোর্সের দিনব্যাপী অভিযানে এসব আটক করা হয়।
এর আগে ৮ ই অক্টোবর ধোপাজান চলতি নদীতে বালুবাহী নৌ চলাচল বন্ধের আদেশ জারি করে জেলা প্রশাসন। ১৮ অক্টোবর অবৈধ নৌ প্রবেশ ঠেকাতে নদীর প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া দেয়া হলেও সেটি ভেঙে ফেলে বালুখেকোরা। জেলা প্রশাসনের জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছিল বালু উত্তোলন ও পরিবহন।

বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়ন সুনামগঞ্জে উদ্যোগে অভিযানের নেতৃত্ব দেন সদর ও বিশ্বম্ভরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক,এসিল্যান্ড সুনামগঞ্জ,নৌ পুলিশ সহ আনসার ও পুলিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ধোপাজান নদী‌তে বালু লুটপাট এবং চাঁদাবাজি বেড়েছে। ডলুরা জিরো পয়েন্ট থেকে ডলুরা মসজিদের ঘাট পর্যন্ত এলাকায় দিনে-রাতে চলছে বালু লুটপাট। নদীর কাইয়ারগাঁও এলাকায় রাতে ড্রেজার মেশিনে নদীর বুক খনন চলছে। তাতে পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। এসব ড্রেজার মেশিন এবং বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে উত্তোলনের সময় থেকে সুরমা নদীর আব্দুজ জহুর সেতু এলাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচ স্থানে চাঁদাবাজি হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মফিজুর রহমান জানিয়েছেন,ইজারাবিহীন নদীতে দিনব্যাপী টাস্কফোর্সের অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী ও পাড় কেটে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ঐসব বালু খেকোদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না প্রয়োজন আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানান,ধোপাজান চলতি নদীতে কিছু সংখাও অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করার ফলে ধোপাজান চলতি নদীর পাড় ভাঙ্গন ও পরিবেশ নষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃত বালু ও নৌকার আনুমানিক সিজার মূল্য ১৩ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৪:২৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
১৮ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জে ধোপাজান নদীতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ১৩ কোটি টাকার মালামাল জব্দ

আপডেট সময় ০৪:২৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে সুনামগঞ্জ জেলার সদর ও বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে ১৩৪ টি বালু বোঝাই নৌকা,বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত নিষিদ্ধ ৮টি ড্রেজার মেশিন জব্দসহ ৪ জনকে আটক করেছে টাস্কফোর্স। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক মূল্য ১৩ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল দশটা থেকে ধোপাজানা বালু মহল ও চলতি নদীর দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টাস্কফোর্সের দিনব্যাপী অভিযানে এসব আটক করা হয়।
এর আগে ৮ ই অক্টোবর ধোপাজান চলতি নদীতে বালুবাহী নৌ চলাচল বন্ধের আদেশ জারি করে জেলা প্রশাসন। ১৮ অক্টোবর অবৈধ নৌ প্রবেশ ঠেকাতে নদীর প্রবেশ মুখে বাঁশের বেড়া দেয়া হলেও সেটি ভেঙে ফেলে বালুখেকোরা। জেলা প্রশাসনের জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছিল বালু উত্তোলন ও পরিবহন।

বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়ন সুনামগঞ্জে উদ্যোগে অভিযানের নেতৃত্ব দেন সদর ও বিশ্বম্ভরপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অভিযানে বিজিবি ২৮ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক,এসিল্যান্ড সুনামগঞ্জ,নৌ পুলিশ সহ আনসার ও পুলিস সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ধোপাজান নদী‌তে বালু লুটপাট এবং চাঁদাবাজি বেড়েছে। ডলুরা জিরো পয়েন্ট থেকে ডলুরা মসজিদের ঘাট পর্যন্ত এলাকায় দিনে-রাতে চলছে বালু লুটপাট। নদীর কাইয়ারগাঁও এলাকায় রাতে ড্রেজার মেশিনে নদীর বুক খনন চলছে। তাতে পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। এসব ড্রেজার মেশিন এবং বালু উত্তোলনকারীদের কাছ থেকে উত্তোলনের সময় থেকে সুরমা নদীর আব্দুজ জহুর সেতু এলাকায় পৌঁছানো পর্যন্ত কমপক্ষে পাঁচ স্থানে চাঁদাবাজি হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মফিজুর রহমান জানিয়েছেন,ইজারাবিহীন নদীতে দিনব্যাপী টাস্কফোর্সের অভিযানে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদী ও পাড় কেটে বালু উত্তোলন বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। ঐসব বালু খেকোদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না প্রয়োজন আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানান,ধোপাজান চলতি নদীতে কিছু সংখাও অসাধু ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে বালু উত্তোলন করার ফলে ধোপাজান চলতি নদীর পাড় ভাঙ্গন ও পরিবেশ নষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃত বালু ও নৌকার আনুমানিক সিজার মূল্য ১৩ কোটি ১৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা।