শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জে বন্যায়ও ভেসে থাকবে এই ঘর, উঠবে না কোনো পানি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরীক্ষামূলকভাবে ৩০টি ড্রাম, ৫০টি বাঁশ ও ৪ বান্ডিল ঢেউটিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান বসতঘর।

জুন মাসের ভয়াবহ বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়ায় প্যারিনগর গ্রামের সমীর দাস ও সাগরি দাস দম্পতিকে দেওয়া হয় এই ঘর। নির্মাণে ব্যয় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ও কাঁচামাল দিয়ে তৈরি করা পানিতে ছুটে চলা অভিনব এ ভাসমান ঘরের চিত্র সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভপুর উপজেলার প্যারিনগর গ্রামের। প্লাস্টিকের ড্রাম, বাঁশ, কাঠ ও ঢেউটিন দিয়ে তৈরি বাড়ি বন্যার সময় পানিতে ভেসে থাকবে। ভাসমান বাসগৃহ পানির সঙ্গে তাল মিলিয়ে করবে ওঠানামা। ক্ষতিগ্রস্ত হবে না পাহাড়ি ঢল কিংবা বন্যার পানিতে।

ভরা বর্ষায় সুনামগঞ্জের হাওরের পাড়ের গ্রামগুলো ছোট ছোট দ্বীপে পরিণত হয়। চারপাশে থাকে অথৈ পানি। বন্যার শুরুতে নিম্নাঞ্চলের গ্রামের ঘরবাড়ি বানের পানিতে ডুবে যায়। তখন সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোনো উপায় থাকে না বানভাসিদের। বানভাসিদের সংকট দূর করতে এগিয়ে আসেন বিশ্বম্ভপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদি উর রহিম জাদিদ।

ইউটিউবে ভাসমান ঘর ও গ্রামের ভিডিও দেখে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে প্রথমে একটি ভাসমান ঘর নির্মাণ করে প্রদান করেন একটি দুর্গত পরিবারকে। পরবর্তীতে সফলতার মুখ দেখলে পর্যায়ক্রমে আরো ভাসমান ঘর নির্মাণ করার জানান তিনি।

সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, এটি যদি পরিবেশ সম্মত হয় এবং শুকনো মৌসুমেও যদি কোনো সমস্যা না হয় তাহলে আমরা এমন ঘর আরো নির্মাণ করব।

তিন কক্ষের এই বসতঘরে অনায়াসে ৬ থেকে ৮ জন মানুষ বসবাস করতে পারবেন। এই ঘরে রয়েছে দুটি ঘর ও একটি রান্নাঘর। মাটিতে তৈরি ঘর প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভাসমান ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে খুশি উপকারভোগীরা।

উপকারভোগী ও গ্রামবাসীরা বলেন, এই ঘরে পানি ওঠে না। অনেক শান্তি পাচ্ছি আমরা।উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, ৮ হাত প্রশস্ত ও ১২ হাত লম্বা ভাসমান ঘর তৈরিতে ৩০টি ড্রাম, ৫০টি বাঁশ ও ৪ বান্ডিল ঢেউটিন লেগেছে। এতে খরচ হয়েছে আড়াই লাখ টাকা।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs