রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:১৯ অপরাহ্ন

হবিগঞ্জে খুনের ২৬ বছর পর রায়, খালাস পেলেন সবাই

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দীর্ঘ ২৬ বছর পর হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ১৭ জন আসামিই বেখসুর খালাস পেয়েছেন। তাদের মধ্যে বিচার চলাকালে মৃত্যু হয়েছে ১৪ আসামির।

সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাসিম রেজা এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৪ জানুয়ারি সকালে বানিয়াচং উপজেলার সুজাতপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের দক্ষিণ দিকে খোয়াই নদে ভাসমান অবস্থায় শতমুখা গ্রামের বাসিন্দা ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ১ জানুয়ারি রাত ১১টার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় ওই দিনই আব্দুল্লার স্ত্রী সাহিনা চৌধুরী অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা করেন।

বানিয়াচং থানার তৎকালীন এসআই বাবুল চন্দ্র বণিক ও পরে এএসপি ছিদ্দিকুর রহমান মামলাটির তদন্ত করে ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন শতমুখা গ্রামের বাসিন্দা সুজাতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এনাম খান ফরিদ, আব্দাল মিয়া চৌধুরী ও হাজী আলকাছ মিয়াসহ ৩১ জন আসামির নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

তদন্তকালে অনেক সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। এর মাঝে আবেদ আলী ও আব্দুল হাই নামে দুই আসামি গ্রেফতারের পর তখনকার প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট তপন চন্দ্র বণিকের কাছে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। আদালত ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।

২০১৩ সালের ২৯ জানুয়ারি সর্বশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। দীর্ঘদিন পর সোমবার মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক। রায় ঘোষণাকালে বাদী সাহিনা চৌধুরী উপস্থিত না থাকলেও আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।

রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি সালেহ আহমদ বলেন, এই রায়ে তারা অসন্তুষ্ট। দুজন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ও ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও আসামিরা খালাস পাওয়ায় বাদীপক্ষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs