মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩৯ অপরাহ্ন

খবরের শিরোনাম:

হবিগঞ্জে ভ্যাপসা গরমে বেড়েছে ডাব-তালের কদর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জে ভ্যাপসা গরমে বেড়েছে ডাবের কদর। একদিকে যেমন হাইব্রিড ডাব বিক্রি করে মানুষের জীবন বিষাক্রান্ত করে তুলেছে অন্যদিকে প্রতিটি ডাব বেকাদায় ফেলে ৮০ থেকে ১শ টাকা আদায় করা হচ্ছে। আর এসব ডাব খেয়ে সাধারণ মানুষের উপহারের চেয়ে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। জ্যেষ্ট আষাড় মাসে প্রচÐ গরম পড়ায় মৌসুমের সুস্বাদু ফল ডাব। আর এসব ডাব এখন হাই্রবিড গাছের হাওয়ায় স্বাদ নেই। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হাসপাতালের মোড়, থানার মোড়, কোর্ট মসজিদ এলাকা, তিনকোনা পুকুর পাড়, রাজনগর, শায়েস্তানগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পসারিরা হাইব্রিড ডাব সাজিয়ে বিক্রি করছেন। কয়েকজন বিক্রেতা জানান, কোনটা হাইব্রিড, কোনটা গাছের। জানি না। কিনে এনে বিক্রি করছি। তবে হাইব্রিড হলে হতে পারে।

এদেিক, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাওয়া যাচ্ছে মৌসুমী এই কচি তাল। ছোট বড় প্রকার ভেদে প্রতিটির দাম ১০ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। আম ও লিচুসহ মৌসুমি অন্য ফলের ক্ষেত্রে ফরমালিন ব্যবহারের ঘটনা খুবই স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। কিন্তু তালের শাঁসে এসবের প্রয়োজন হয় না। ফলে ভেজালমুক্ত তাল শাঁসের কদর বেশি।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর, দাউদনগর বাজার ও শায়েস্তাগঞ্জ নতুনব্রীজসহ বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, বাসস্ট্যান্ডে পাকা সড়কের পাশে জনসমাগম বেশি এমন পথের ধারে এখন শোভা পাচ্ছে এ তাল ফল। আবার কোথাও কোথাও ভ্যানযোগে পাড়া-মহল্লাতেও ঘুরে ঘুরে তাল শাঁস বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে কচি তাল সংগ্রহ করে বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে। আর পসরা সাজিয়ে বসছেন ভ্রাম্যমান দোকানীরা। মৌসুমী ফল হিসেবে তালের শাঁসের বেশ চাহিদা থাকায় ক্রেতারা বেশ আগ্রহ ভরে কিনছেন। চাহিদা মাফিক সময় মতো শাঁস কেটে সারতে পারছেন না বিক্রেতারা, তাই তারা ১/২জন সহকারিকে সাথে নিয়ে এ কাজ করেন।

ওলিপুর এলাকার তাল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, গ্রামে গ্রামে ঘুরে তাল গাছের মালিকের কাছ থেকে পাইকারী তাল ক্রয় করে গাছ থেকে পেড়ে এনে তাল শাঁস বিক্রি করি। গরম বেশি থাকায় তালের শাঁসের চাহিদা রয়েছে বেশি। নতুনব্রীজ এলাকার তাল ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বলেন, তাল গাছ থেকে ফল কেটে আনা একটি কষ্টকর বিষয়। অতিরিক্ত পারিশ্রমিক দিয়ে কেটে আনতে হয়। একটি গাছে ২০০ থেকে ২৫০ টি তাল পাওয়া যায়। জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বিক্রি শুরু হয়, চলে পুরো মাস জুড়ে। প্রতি পিস তাল কিনতে হয় প্রকারভেদে তিন থেকে পাঁচ টাকায়। বিক্রি করেন ১০ থেকে ২০ টাকা। প্রতিদিন বিক্রি হয় ২০০-৪০০টি তাল। এতে দৈনিক লাভ হয় পাঁচ শ’ থেকে সাত শ’ টাকা।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs