শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমির হোসেনের ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। হবিগঞ্জের সাংবাদিকতা জগতের পথিকৃৎ আমির হোসেন ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ বেতারের হবিগঞ্জ জেলা
প্রতিনিধি এবং দৈনিক মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন হবিগঞ্জের সাংবাদিকতা জগতের উজ্জল নক্ষত্র। হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠায় নিরলস ভাবে কাজ করেন তিনি। পেশাগত দক্ষতার স্বীকৃতি স্বরুপ জীবনে তিনি বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। সর্বশেষ সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ‘সোহাগ সাহিত্য গোষ্ঠী’ তাকে আইন পেশা ও সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য স্বর্ণপদক প্রদান করে। উল্লেখ্য, অ্যাডভোকেট মোঃ আমির হোসেন চুনারুঘাট উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের ছয়শ্রী গ্রামের সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৯ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মোঃ মকবুল হোসেন ও মাতা কুসুম বানু। ৪ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে মোঃ আমির হোসেন ছিলেন দ্বিতীয়। তার বড় ভাই মোঃ জহুর হোসেন একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার পর হবিগঞ্জে প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে ১৯৭২ সালে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রথম কমিটি গঠন করা হলে আমির হোসেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে তিনি হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত একটানা ১১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে পুণরায় কমিটি গঠিত হলে তিনি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৯০ সনে নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসক্লাবের নতুন কমিটি গঠিত হলে তিনি পুণরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনকালে প্রেসক্লাবের প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেন। ২০০২ সালে তিনি আবারও সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০৩ সাল পর্যন্ত এবং ২০০৬ সালে তিনি সাংবাদিকদের ব্যাপক সমর্থনে পুনরায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় এবং প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধিতে কাজ করে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন। হবিগঞ্জের প্রথিতযশা সাংবাদিক মোঃ আমীর হোসেন ১৯৭৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৬ বার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে মোট ২৩ বছর সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে সততা, নিষ্ঠা ও অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের ও সাংবাদিকদের মর্যাদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।