শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০৭:১৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ প্রচীন বাংলার গ্রামীণ জনপদের অন্যতম বিনোদন ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা। যা সময়ের বিবর্তণের ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে। মাঝেমধ্যে এখনও গ্রামীণ জনপদে এই প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হলেও শহর এলাকাগুলো এই প্রতিযোগীতা নেই বললেই চলে। তবে ১৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে এ ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। আর
এই ঐতিহ্যবাহী ঘোড় দৌড়ের খবর শুণে স্টেডিয়াম পাড়ায় জড়ো হয় হাজারো নারী-পুরুষ তরুণ-তরুণী।
এবারের ব্যতিক্রমধর্মী এই ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নেয় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ১৫টি বিভিন্ন নামের ঘোড়া। হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে ৫ রাউন্ড খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন হয় জেলার নবীগঞ্জ থেকে আসা ‘শাহ জালালের দোয়া’ নামে ঘোড়াটি। যার মালিক আলাল মিয়া। আর ২য় স্থান অধিকার করে একই এলাকার দিলকাছ মিয়ার ঘোড়া ‘মায়ের আদেশ’। ৩য় স্থান অধিকার করে মাধবপুর উপজেলার বাবুল মিয়ার ঘোড়া ‘রঞ্জিত’। প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেষ্ট ও প্রাইজমানি তুলে দেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা’র নেতৃবৃন্দ। এসময় অন্যান্যদেরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে, জলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুউল্ল্যাহ, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ ফখরুজ্জামান, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম, হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।
এর পুর্বে ফিতা কেটে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের একটা প্রাণের খেলা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উপলক্ষে সাধারণ মানুষদের বিনোদন দিতেই ব্যতিক্রমী এ খেলার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি আগামী আরো বড় পরিসরে এ খেলার আয়োজন করতে পারব। ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগীতা এখন আর হয়না। আধুনিকতার কারণে এ খেলাটি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে শহরে এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হবে আমরা কখনো ভাবতে পারিনি। আমরা ঘোড় প্রতিযোগীতা উপভোগ করিছি। তবে তারা প্রতি বছরই যেন এ খেলার আয়োজন করা হয় সে জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানান।
চ্যাম্পিয়ন ঘোড়ার মালিক আলাল মিয়া জানান, এখনও ঘোড় দৌড়ের খবর শুণলে মাঠে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। এটা আমাদের বাঙালী ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাই খেলাটির প্রচলন আমাদেরকেই ধরে রাখতে হবে।