শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

হবিগঞ্জ হাসপাতালের লাশ কাটা ঘর নানা সমস্যায় জর্জরিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নানা সমস্যায় জর্জরিত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের লাশ কাটা ঘর। জেলার একমাত্র এই মর্গে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাশ কাটা হয়। কিন্তু ফ্যান, বাতি, পানি এবং ফ্রিজিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় লাশ পঁচে গিয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন রোগ বালাইও দেখা দিচ্ছে। নামে মাত্র হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল। কিন্তু সেবাদানে নেই কোনো উন্নত ব্যবস্থা। অনেক সময় দেখা যায়, বিকাল ৪টার
পর কোনো লাশ এলে ময়নাতদন্ত হয় না। পরের দিন করা হয়। আবার আইনের মারপ্যাচে পড়ে অনেক সময় ৩/৪ দিনও রেখে দিতে হয় লাশ। গত শনিবার র‌্যাব এর এক সদস্য সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান। কিন্তু লাশটি মর্গে রাখার ফলে পঁচে যাওয়ার আশংকায় মৌলভীবাজার থেকে লাশবাহি ফ্রিজিং গাড়ি আনা হয়। এরকম সমস্যা নতুন নয়। অনেক বছর ধরেই এমন অবস্থা চলছে। পুলিশ ও লাশের সাথে আসা স্বজনরা জানান, কোনো সময় পঁচা লাশ আনা হয় আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাজা লাশও আনা হয়। কিন্তু মর্গে রাখার ১২ ঘন্টা পরেই লাশ ফুলে পঁচে যায়। গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাশ কাটার কোনো অত্যাধুনিক সরঞ্জাম নেই। মান্দাতার আমলে ভুঁতা চাকু ও দা দিয়েই কষ্ট করে লাশ কাটাছেড়া করা হয়। তাছাড়া লাশের গুরুত্বপূর্ণ আলামত রাখার জন্য যে বোতলে রাখা হয় সেগুলোও অনেক পুরোনো। একেকটা বোতলে বেশ কয়েকটি আলামত রাখা হয়। যার ফলে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে ব্যাঘাত ঘটার আশংকা রয়েছে। শুধুমাত্র একটি ফ্যান রয়েছে। যে কটি বাতি রয়েছে সেগুলোও বিকল। শুধুমাত্র ১টি লাইট দিয়ে কোনো রকমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ডোম। প্রধান ডোম ছাবু মিয়া ও তার সহযোগি তাজুল ইসলাম মারা যাবার পর কোনো নিয়োগ না থাকায় ছাবু মিয়ার ছেলে জিতু মিয়া ও তার সহযোগি রিপন মিয়া অতি কষ্টে লাশ কাটাছেড়া করেন।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.
Developed by DesigUs