বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:০৭ অপরাহ্ন
রাজবাড়ী প্রতিনিধি: প্রিয়জনদের সাথে ঈদ উদযাপন শেষে ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।
ছুটির শেষ দিন আজ শনিবার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ব্যক্তিগত যানবাহন ও যাত্রীবাহী পরিবহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১টা থেকে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সৃষ্টি হতে থাকে যানবাহনের সিরিয়াল। যে কারণে ফেরির নাগাল পেতে সময় লাগছে প্রায় ১০-১১ ঘণ্টা।
শনিবার (৭ মে) সকাল ১১টায় দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের খানখানাপুর প্রায় ১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাস, ব্যক্তিগত গাড়ির সারি রয়েছে। এ ছাড়া ১৩ কিলোমিটার দূরে গোয়ালন্দ মোড়ে ঢাকা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রায় ৪ কি.মি. অংশজুড়ে পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন নদী পারাপার করার জন্য ২১টি ছোট বড় ফেরি ও ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
যশোরের বেনাপোল থেকে আসা সৌদিয়া বাসের যাত্রী তপু জানান, গত রাতে এসে ঘাটে দাঁড়িয়েছি। এখনো ফেরিতে উঠতে পারিনি। ফেরি পর্যাপ্ত চলছে মনে হয় না। এই দীর্ঘ সময় যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সুবর্ণ বাসে সুপারভাইজার আরেফিন বলেন, শুক্রবার সকাল ৮টায় এসেছি; এখন সকাল ১১টা বাজে। ফেরিতে উঠতে পারিনি। ১৪ ঘণ্টা তো যানজটেই গেল। কতক্ষণ পর ফেরি পাবো বলতে পারতেছি না। গরমে যাত্রীরা সব অস্থির হয়ে উঠেছেন।
বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া শাখার ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান জানান, ছুটির শেষ দিন হওয়ায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে। বারতি চাপ সামাল দিতে ২১টি ফেরি চলছে। চেষ্টা করছি ঘাটের লোড-আনলোড ক্লিয়ার রাখতে, যাতে ফেরির ট্রিপ না কমে।