আজমিরীগঞ্জে বীজতলা বাঁচাতে চেষ্টা করছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকেরা
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ও উজানের পানি আসাতে,কুশিয়ারা ও কালনী নদীর পানি বেড়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হাওর গুলিতে পানি প্রবেশ করে রুপা আমনের বীজতলা তলিয়ে যায়।
এতে কৃষকরা বিরাট ক্ষতির মুখে পড়ে যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে মোট রুপা আমনের লক্ষমাত্রা ৭৮১০হেক্টর, এখন পর্যন্ত এক হেক্টর জমিতেও চারা রোপণ করা হয়নি। এর আগেই ৩৯৫হেক্টর বীজতলা থেকে ৯০হেক্টর তলিয়ে যায় ।
কুশিয়ারা ও কালনী নদীর পানি কমতে থাকায় হাওর গুলির পানি নামতে শুরু করেছে এবং বীজ তলা গুলি বাচাতে কৃষকেরা জমিতে বাঁধ দিয়ে ছোট ছোট মেশিনের মধ্যেমে সেচ করে পানি কমিয়ে বীজতলা বাঁচাতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
ক্ষতি গ্রস্থ কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে আলোচনা করলে তাহারা জানান বেশি দামে সার বীজ ক্রয় করে বীজতলা তৈরি করেছিলাম হঠাৎ পানি বেড়ে বীজতলা তলিয়ে যাওয়ায় অনেক অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতির মুখে।
দ্বিতীয়বারের মতো বীজতলা তৈরি খুব কষ্টের তাই সেচ করে চেষ্টা করছি বীজতলা বাঁচাতে। এ বিষয় নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ লুৎফে আল মঈজ জানান এ বছরের রুপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ৭৮১০হেক্টর, এখন পর্যন্ত এক হেক্টর জমিতেও চারা রোপণ করা হয়নি।
এর আগেই ৩৯৫হেক্টর বীজতলা থেকে ৯০হেক্টর তলিয়ে যায়, অনেক কৃষক সেচ দিয়ে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা করতেছে। আবার অনেকে বীজতলা তৈরি কতেছে আর অনেকে পাশবর্তী উপজেলা থেকে চারা সংগ্রহ করার চেষ্টা করতেছে।