শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস আজ

নিজস্বপ্রতিবেদকঃ আজ ১৮ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস’। ১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি আকারে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০০০ সাল থেকে এ দিনটিকে বিশ্বব্যাপী উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিপুলসংখ্যক অভিবাসীদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ঘিরে এ দিবসটি উৎপত্তি।

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে থাকে। বাংলাদেশে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শতবর্ষে জাতির পিতা সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনব মর্যাদা ও নৈতিকতা’।’ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপিত হচ্ছে।দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

সূত্র বলছে, সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ স্থানে থাকা বাংলাদেশের অভিবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম সর্বোচ্চ রেমিটেন্স গ্রহণকারী দেশ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত অভিবাসীরা ২৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এই রেমিটেন্স এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বড় ভূমিকা রেখেছে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটি উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকতা অনুষ্ঠিত হবে।দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা যেন কোনো ধরনের শোষণ, বঞ্চনা ও হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত অভিবাসী বাংলাদেশীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, শ্রম-অভিবাসন বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আমাদের অভিবাসী কর্মীরা দেশের জন্য আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা বা রেমিটেন্স, অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে তারা দেশের সুনাম বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বানীতে বলেন, বৈশ্বিক শ্রম বাজারে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় অনেক অভিবাসী ইতোমধ্যে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। আমরা তাদের জন্য স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে ঋণ এবং পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।

এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ প্রবাসী কর্মীকে বিশেষ ব্যবস্থায়-সুরক্ষা- এ্যাপসের আওতায় এনে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন-টেকসই উন্নয়নের মূলকথা কেউ পিছিয়ে থাকবে না-বাস্তবায়নে আমরা সবাইকে নিয়ে একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

১৯৯০ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অভিবাসী শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে।

এই নিউজটি আপনার ফেসবুকে শেয়ার করুন

© shaistaganjerbani.com | All rights reserved.